সোমবার তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় অভিষেক বলেন, ‘E² পদ্ধতিতে চলছে কেন্দ্র। একটি E হল ইলেকশন কমিশন বা যাকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত E হল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তবে এই সংস্থার উদ্দেশ্য দুর্নীতি দমন নয়। বরং এটি বিরোধীদের জেলে পাঠাতে ব্যস্ত।’ ভিডিয়োতে অভিষেক বলেন বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের পরিপন্থী। তাঁর কথায়, ‘তফসিলি জাতি, উপজাতি, কৃষক, গরিবদের বিরোধী বিজেপি সরকার। সর্বোপরি ভারত বিরোধী এই সরকার।’
এই দিন ইডি ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগার পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জিও জানান অভিষেক। বলেন, ‘একটিও ভোট বিজেপিকে দেওয়ার অর্থ হল নিজের দেশের আত্মা, সংবিধানকে লোভী মানুষের হাতে বিক্রি করা। তারা দেশকে নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করে। এটা গণতন্ত্র নয়।’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মাত্র দেড় বছর আগেই ছাড়া পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু ভোটের আগে আগেই ফের গ্রেফতার হতে হল তাঁকে। বিরোধীদের অনেকেই এর মধ্যে রাজনীতির আঁচ পাচ্ছেন। সিবিআইয়ের মতোই এই দিন পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন। ফোনটি ছুঁড়ে জঙ্গলে ফেলে দিলেও সেটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জীবনকৃষ্ণ বলেন, তিনি আদৌ দৌড়ে পালানো বা ফোন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। তবে নিজেকে তিনি ‘চক্রান্তের শিকার’ বলে দাবি করেছেন। আপাতত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাতে পারে।
বিজেপি আইটি মুখপাত্র অমিত মালব্য এই গোটা ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানান এই দিন। তাঁর কথায়, জীবন কৃষ্ণ সাহা বলিউড স্টাইলে পালাতে চাইছিলেন। তাঁকে এই দিন ‘ক্লাউন’ বলেও ব্যঙ্গ করেন এই দিন।