• রাজ্য বিজেপিতে কোন্দল তুঙ্গে! মোদির সভায় ডাক না পেয়ে দিল্লিতে নালিশ লকেট-ভারতীর
    প্রতিদিন | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: ছাব্বিশের ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দলের মাত্রা বাড়ছে! দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লকেট চট্টোপাধ‌্যায় ডাক পাননি। আবার ন্যাশ?নাল লাইব্রেরিতে দলের ‘নারী শক্তি’ সম্মেলনে রাজ‌্যনেত্রী ভারতী ঘোষও আমন্ত্রণ পাননি। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে ক্ষোভের ঝড় বইছে। এর জল এবার অনেক দূর গড়াতে চলেছে। সূত্রের খবর, লকেট এবং ভারতী দু’জনেই দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নালিশ জানিয়েছেন।

    পৃথক দুই কর্মসূচিতে লকেট বা ভারতীকে না ডাকার বিষয়টি রাজ‌্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর অজান্তেই হয়েছে বলে খবর। দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে কেন লকেটকে ডাকা হয়নি? তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ‌্য বিজেপির কাছে। পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ‌্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তো টানা তিনবার ডাকাই হয়নি প্রধানমন্ত্রীর সভায়। গত শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যখন দমদমে দলীয় সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন দিলীপ বেঙ্গালুরুতে আর্ট অফ লিভিং সেন্টারে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের সঙ্গে ছিলেন। সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কা প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপকে অবশ‌্য আবার স্বমেজাজে দেখা গিয়েছে।

    ছাব্বিশের ভোটে তাঁর যে পছন্দ খড়গপুর, তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়ে দিলীপ ঘোষ, তিনি বলেন, “ওখানকার (খড়গপুর) সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি খড়গপুরের ভোটার। ওখানকার পার্টির অ‌্যাক্টিভ মেম্বারও। ফলে লড়তে হলে যাদের সঙ্গে বরাবর থেকেছি, তাদের সঙ্গেই থাকব।” তাঁর দাবি, শুধু খড়গপুর নয়, জেলার সবকটা আসনে জেতার জন‌্যই লড়াই করব। অন‌্য সব জেলার থেকে খড়গপুরে ভাল সংগঠন আমাদের তৈরি আছে। দিলীপ এদিন মনে করে দিয়েছেন, “এতদিন পার্টি যে দায়িত্ব দিয়েছে করেছি। ভবিষ‌্যতেও যা দায়িত্ব দেবে পালন করব।’’ এদিকে, বেঙ্গালুরুতে আর্ট অফ লিভিংয়ে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের সঙ্গে দেখা করে আসার পর সোমবার সকালে ইকোপার্কে আবার অন‌্য এক ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। পায়রাদের খাওয়াচ্ছেন তিনি। এরকম একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা প্রকৃতির সঙ্গে যত সময় কাটাব, পশুপাখিদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করব, তাদের বোঝার চেষ্টা করব, ততই আমাদের মন ভালো থাকবে।’’

    অন‌্যদিকে, বিজেপি পার্টির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল যে চরম আকার নিয়েছে, তার আবার প্রমান মিলেছে তমলুক জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভায়। যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও। রবিবার হলদিয়াতে অনুষ্ঠিত এই সভার ব‌্যানারে মোদি ও নাড্ডার সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি থাকলেও সেই ব‌্যানারে ছিল না রাজ‌্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর ছবি। বিজেপির দলীয় কোনও সভায় রাজ‌্য সভাপতির ছবি থাকাটা ব‌াধ‌্যতামূলক। শমীকের ছবি না থাকা নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)