সৌমেন ভট্টাচার্য: উত্তরপ্রদেশে পণ দিতে না পারায় ২৮ বছরের গৃহবধূকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয় স্বামী। নিক্কি ভাটি নামে ওই মহিলার হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। এই আবহেই রবিবার রাতে নিমতায় আর এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু।
নিমতার শ্রীদূর্গা পল্লীতে শ্বশুড়বাড়ি থেকে বছর ২৩-এর এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় নিমতার শ্রীদূর্গা পল্লীতে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম সুস্মিতা দাস।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর এবং শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বিচারের দাবি জানায়। পরিবারের দাবি, এদিন তাদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। তারা মেয়েকে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর তড়িঘড়ি তারা সাগর দত্ত হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে বলা হয় মেয়েকে বিরাটি পৌর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
সেখানে পৌঁছানোর পথে জানানো হয় মেয়ে মারা গিয়েছে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপরে নিমতার শ্রীদূর্গা পল্লীতে তাঁরা পৌঁছায়। মেয়েকে দেখে তাদের অনুমান হয় তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তারা নিমতা থানায় খবর দেয়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনায় পরিবারের তরফে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামী-সহ শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিস।