অর্ণবাংশু নিয়োগী: R G Kar-এর নির্যাতিতা মামলার পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hosopital) আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলেছে আখতার আলিকে (Akhrat Ali) কাঠগড়ায় তুলে জামিন পাওয়ার পথে পা বাড়ালো সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (Non Medical) আখতারের সম্পর্কে জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandyopadhyay)।
আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত:
আর সরকারি এই হাসপাতালে 'দুর্নীতি' শুরু হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের জমানার আগে থেকেই। আখতার আলি ডেপুটি সুপার পদে থাকার সময় থেকেই শুরু হয়েছিল নানা বেআইনি কার্যকলাপ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে এবার দাবি করলেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ২০২২ সালের প্রথম দিকে আরজি কর হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগ জমা পড়েছিল ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলির বিরুদ্ধে।
আখতার আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ:
এই আখতার আলির বিরুদ্ধে অর্থোপেডিক, ENT বিভাগের প্রধানরাও অভিযোগ করেছিলেন পরের বছর। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল সন্দীপ ঘোষ। প্রায় এক বছর হতে চলল, তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতেই হয়নি সন্দীপ ঘোষকে। যা জিজ্ঞাসাবাদ গত বছর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৭ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখনও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নিতীর মামলায় তার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই। R G Kar-এর নির্যাতিতার ঘটনার আগে থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন এই আখতার আলি। এরপর তিলোত্তমার ঘটনার পর সিবিআই তদন্ত হাতে নেয়। সেই ঘটনার পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলারও তদন্ত করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সন্দীপের আইনজীবীর বক্তব্য:
ঘটনার উল্লেখ্য়, সেই মামলাতেই এবার কার্যত মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করতে দেখা গেল সন্দীপের আইনজীবী। এতদিন যে আকতার আলি দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, এবার তাঁর নামই তুললেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার থেকে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে আরজিকর আর্থিক দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। প্রথম দিন স্বাস্থ্য ভবনের এক স্বাস্থ্যকর্তা সাক্ষী হিসেবে ছিলেন। সন্দীপের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত সাক্ষীর কাছে জানতে চান, আখতার আলির সময় একাধিক বেআইনি কাজকর্মের জন্য আখতারের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারি হয়েছিল? সাক্ষী ওই স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, 'যতদূর মনে পড়ে হয়েছিল। ভিজিলেন্স কমিশনে গিয়েছিল বিষয়টি।'
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
প্রসঙ্গত এই স্বাস্থ্যকর্তাই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন টালা থানায়। সন্দীপের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত সাক্ষীর থেকে আরও জানতে চান, সন্দীপের সময়কালের আগে আরজি কর হাসপাতালের অধীনে থাকা বিভিন্ন হস্টেলে আখতার আলির সহায়তায় 'আনঅথরাইজড ভেন্ডর' হস্টেল ক্যান্টিনে ছিল কি? যদিও ওই স্বাস্থকর্তার কৌশলী জবাব, তিনি এবিষয়ে জানেন না।
সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগেও এই মামলার শুনানিতেই সন্দীপের আইনজীবী সরব হয়েছিলেন আখতার আলি প্রসঙ্গে। আখতারের নাম সিবিআই কেন সাক্ষীদের তালিকায় রাখল না? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয়। তাঁর দাবি ছিল, যেখানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে আখতার আলি সরব হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, সে ক্ষেত্রে কেন তিনি এই মামলায় সাক্ষীদের তালিকায় থাকবেন না?