সোমা মাইতি: মুর্শিদাবাদে ইডির হানা। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও বড়ঞারই এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চলছে সোমবার সকাল থেকেই। প্রাথমিক অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তেই ইডির হানা মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়।
রাজেশ ঘোষ নামের এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মীর বাড়িতে বাড়িতে সকালে ইডির আধিকারিকদের একটি টিম এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে, ইডির আরেকটি দল হানা দেয় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। সকাল থেকেই বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছল বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল বড়ঞার আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে শুরু হয় সিবিআই-এর তল্লাশি। মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। ১৭ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বন্দি ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। ২০২৪ এর ১৪ মে জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল কোর্ট। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি। এদিন সকালে বিধায়কের আন্দির বাড়িতে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযান। ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির স্ক্যানারে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার বিধায়ক ও আরেক ব্যক্তির বাড়িতে শুরু ইডির তল্লাশি।
এদিন সকাল থেকেই বিধায়কের নানান আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়ি এবং পিসির বাড়িতে যায় ইডি।
২০২৩ সালে ইডির হানায় জীবনকৃষ্ণ নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পিছনে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। এইবারেই সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারেও তৃণমূল বিধায়ক নিজের দুটি ফোন ঝোপে ফেলে দেন। এবং বাড়ির পিছন দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তদন্তকারীদের অনুমান, বিধায়ক তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। কিন্তু ইডি আধিকারিকরা সেই ফোন দুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।