তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে ইডির হানা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
কলকাতা ও রাজ্যের একাধিক জেলায় ফের বড়সড় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক দল। ইডি সূত্রে খবর, অভিযানের মূল লক্ষ্য তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের সম্পত্তি ও নথিপত্র সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ।
সোমবার সকালেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দি গ্রামের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল বিধায়কের বাড়িতে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে, বিধায়ক সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন এবং ইডি আধিকারিকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়ি এবং স্ত্রী টগর সাহার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশি চলেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও। মায়া সাহা সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি। সকাল থেকেই মায়ার বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ইডির আধিকারিকেরা ভিতরে প্রবেশ করেন। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি।
ইডির তল্লাশি চলেছে মহিষ গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী রাজেশ ঘোষের বাড়িতেও। কেন্দ্রীয় সংস্থার একাধিক দল একযোগে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় বলে খবর। সূত্রের দাবি, এই তল্লাশি অভিযান নিয়োগ দুর্নীতি মামলারই অঙ্গ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় দুইটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন তিনি, এমন অভিযোগ ওঠে। পরে পুকুরের জল ছেঁচে সেই মোবাইল উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দীর্ঘ ১৩ মাস কারাবাসের পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান বিধায়ক।
রাজ্য রাজনীতিতে যখন নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে চাপ বাড়ছে শাসক দলের উপর, ঠিক তখনই ফের বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তল্লাশি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।