• বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: এয়ারপোর্ট এলাকার কৈখালি থেকে তিনটি পিস্তল এবং ১৪ রাউন্ড গুলি সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল বেঙ্গল এসটিএফ। তাকে জেরা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত যুবক বাংলাদেশি! শুধু তা‌ই নয়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি তৈরির চক্রের সঙ্গে সে যুক্ত। মোটা টাকার বিনিময়ে সে ওই চক্র চালাত। তার কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা এয়ারপোর্ট এলাকায় বসবাস করছেন। এই অভিযোগ তুলে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। অভিযোগ, অবৈধভাবে তার বাবা-মা ভারতে ঢুকেছেন। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ মে এয়ারপোর্টের কৈখালি এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি সহ লিঙ্কন হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তাকে জেরা করে নারায়ণপুর থানা এলাকায় একটি ফার্ম হাউসের খোঁজ পায় এসটিএফ। সেখান থেকে আরও একটি পাইপগান উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে কিছু আধার, ভোটার ও প্যান কার্ড উদ্ধার হয়। তারপরই সামনে আসে, অভিযুক্ত অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি তৈরির চক্রে যুক্ত। তদন্তে এসটিএফ জানতে পারে লিঙ্কন আদতে বাংলাদেশি। তার বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় বসবাস করছেন। তাই লিঙ্কনের বার্থ সার্টিফিকেট চেয়ে এসটিএফ তার বাবাকে নোটিস পাঠায়।

    কিছুদিন আগে তার বাবা এসটিএফের কাছে গিয়ে দাবি করেন, ১৯৯২ সালে তিনি ভারতে এসেছেন। তাঁদের আসল বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকায়। ৩৩ বছর ধরে তাঁরা ভারতেই বসবাস করছেন। তাঁরা এখন ভারতীয় নাগরিক! এসটিএফ লিঙ্কনের বাবা-মায়ের রেশনকার্ড খতিয়ে দেখে। রেশন অফিসার এসটিএফকে জানিয়েছেন, ওই নাম ও নম্বরে কোনও রেশনকার্ড নেই! তারপর এসটিএফ এয়ারপোর্ট থানায় লিঙ্কনের বাবা-মার নামেও অভিযোগ দায়ের করে। এসটিএফের দাবি, ১৯৯২ সালে তার বাবা-মা ভারতে অবৈধপথে এসেছেন। এমনকী, এখানে এসে তাঁরা জাল নথিপত্রও তৈরি করেছেন। এসটিএফের অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিস ১৪ এ (বি) ফরেনার্স অ্যাক্ট সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)