ইন্টার্নদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ
আনন্দবাজার | ২৪ আগস্ট ২০২৫
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দ্বন্দ্বে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত তেতে উঠল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হল ঘেরাও, বিক্ষোভ। ফিরল হুমকি-প্রথার অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়েছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তবে বিক্ষোভের জেরে পরিষেবায় প্রভাব পড়েনি বলে দাবি তাঁদের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিক্যালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের বহির্বিভাগে চিকিৎসার সময়ে এক মহিলা ইন্টার্নের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁরই এক পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরে ওই মহিলার বন্ধু আর এক পুরুষ ইন্টার্ন ওই সহকর্মীকে মারধর করেন। দুপক্ষই অভিযোগ জানান অধ্যক্ষের কাছে। মহিলা ইন্টার্ন ও তাঁর বন্ধু টিএমসিপি-ঘনিষ্ঠ বলে তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না অভিযোগে শুক্রবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনে ঘণ্টা পাঁচেক ঘেরাও করা হয় অধ্যক্ষকে। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অধ্যক্ষের দফতরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়। চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, আর জি কর কাণ্ডের পরে এক বছর কাটলেও, চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশের তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতার সুবাদে ‘হুমকি-প্রথা’ জিইয়ে রয়েছে মালদহ মেডিক্যালে।
যাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই ইন্টার্ন বলেন, ‘‘মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাবে।’’ মারধর করায় অভিযুক্ত ইন্টার্নের দাবি, ‘‘মহিলা সহকর্মীকে হেনস্থা, দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেছি। আমরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই।”
মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন,“পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,“মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিজেদের ব্যাপার। মন্তব্য করব না।”