সোনালি বিবিরা এখন ‘দেশহীন’। ভারত তাঁদের নাগরিক মানেনি। পড়শি বাংলাদেশেও তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। আপাতত বাংলাদেশের সংশোধনাগারেই ঠাঁই হয়েছে বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি-সহ দু’টি পরিবারের ছ’জনের। পরিজনদের উদ্বেগ সীমাহীন।
ওই ছ’জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনুপ্রবেশকারী হিসাবে তাঁদের ধরেছে বাংলাদেশের পুলিশ। কী ভাবে তাঁদের ফেরানো যায়, তা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শুনেছি,এখন সকলে বাংলাদেশের জেলে রয়েছেন। আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী, দ্রুত আইনের সাহায্যেই সবাইকে ফেরানো সম্ভব হবে। প্রাথমিক কাজ,ও দেশের আদালত থেকে জামিন করানো।’’
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অনুপ্রবেশকারী হিসাবে এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক দানিশ শেখ, তাঁর স্ত্রী সোনালি, বছর সাতেকের পুত্রের পাশাপাশি আর এক পরিযায়ী শ্রমিক সুইটি বিবি ও তাঁর দুই নাবালক সন্তানকে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আলিনগর ভূতপুকুর থেকে ধরা হয়। সে দেশের পুলিশের দাবি, বিএসএফ মাস খানেক আগে, অসম সীমান্তের কুড়িগ্রাম থেকে ছ’জনকে বাংলাদেশে পাঠায়। তাঁরা চাঁপাই নবাবগঞ্জে থাকছিলেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ তাঁদের ধরে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার ওই ছ’জনকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমলি আদালত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। তবে সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও মহিলা ও নাবালক থাকায় বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে। বিশেষত, সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে সে দেশের ‘জেল কোড’ অনুযায়ী, সেবা-চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোনালির মামাতো ভাই রকি শেখ বলেন, ‘‘নিজের দেশ, নিজের বাড়ি নিজেরই হয়। ভিন্ দেশের জেলে কি সে সুখ মেলে!’’ সুইটির মামাতো ভাই আমির খানের চাওয়া, ‘‘দিদিরা সবাই দ্রুত দেশে ফিরুক।’’