• সল্টলেকের দুর্ঘটনায় ধৃত ছোট গাড়ির চালক বাসও চালাতেন!
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি বেপরোয়া ড্রাইভ? সল্টলেকের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা। এমনকী, ধাক্কার পর গাড়িতে কীভাবে আগুন লাগল তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চালক বিনোদ রাই পুলিসি জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ছোট গাড়ি চালানোর পাশাপাশি, তিনি নাকি বাসও চালাতেন! বাসের ক্লাচ, ব্রেক, এক্সেলেটরের অবস্থানের সঙ্গে ছোট গাড়ির অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই তার সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট বিকেলে সল্টলেক ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যাত্রী নিয়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যাপ বাইক চালক সৌমেন মণ্ডল (২০)। এ জে ব্লকের দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে একটি ছোট চারচাকা গাড়ি সজোরে তাঁর বাইকে ধাক্কা দেয়। উড়ে গিয়ে গাড়ির বনেটে পড়েন সৌমেন। তাঁকে নিয়েই সোজা রেলিংয়ে গেঁথে দেন গাড়ি চালক। গাড়িতে আগুন লাগলে পুড়ে মারা যান সৌমেন।

    ঘটনার পর হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ার থানার অধীন বাঁধাঘাটের কাছে এক পরিচিতের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল ঘাতক গাড়ির চালক বিনোদ রাই। পরদিন মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, মালিপাঁচঘড়া থানার তেলিপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি ড্রাইভার সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। সেন্টার থেকেই তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। গাড়িটি যে বেপরোয়া গতিতে এসে ধাক্কা দিয়েছে, তা দেখা গিয়েছে সিসি ক্যামেরায়। তবে, ধৃত চালক জেরায় জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল। তার জন্যই তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তবে, তিনি সত্যি বলছেন, নাকি অপরাধ ঢাকতে চাইছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে, স্থানীয়রা বলছেন, নির্দোষ না হলে তিনি পালিয়ে আত্মগোপন করলেন কেন? কেন অ্যাপ বাইক চালককে বাঁচানোর চেষ্ট না করে চম্পট দিয়েছিলেন?
  • Link to this news (বর্তমান)