• খনির দেওয়াল ভেঙে আচমকা ঢুকে এল বিপুল জল! ভয়ংকর মারণ স্রোতে ভেসে গেলেন শ্রমিকেরা! পোকার মতো মৃত্যু...
    ২৪ ঘন্টা | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • চিত্তরঞ্জন দাস: খনিতে জল ঢুকে (Water Entered into Mine) গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। মৃতের নাম বিবেক মাঝি। বছর ২৫-এর বিবেকের বাড়ি ধানবাদ (Dhanbad) এলাকায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালের (Ondal) শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির তিন নম্বর খাদানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেসরকারি এজেনসির সাত জন শ্রমিক খনিগর্ভে নেমেছিলেন কাজ করতে। তখন আচমকাই জল ঢুকে পড়ে খনিগর্ভে। বরাতজোরে বাকি শ্রমিকেরা বেঁচে গেলেও, সরে যেতে পারেননি বিবেক মাজি। আপাতত খনির কাজ বন্ধ রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আজ, বুধবার সকাল পৌনে ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকোলা এলাকার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ১৬ নম্বর ফেসের ১৯ নম্বর লেভেলে ৷ ঘটনার সময়ে কোলিয়ারির ভিতরে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকের বয়ান থেকে পরে জানা যায়, তাঁরা তখন কাজ করছিলেন ৷ সিম কাটার সময় প্রথমে অল্প-অল্প জল আসছিল। তারপর হঠাৎই জায়গাটায় প্রচুর জল ঢুকে যায় ৷ একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি জানান, 'বাকিরা যাঁরা কাজ করছিলাম, তারা ঠিক আছি ৷ মোট ৬ জন সেই সময় কাজ করছিলাম ওখানে।'

    তদন্ত

    এই ঘটনা নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইসিএলের এক আধিকারিক বলেন, মেশিন দিয়ে কয়লাকাটার সময় হঠাৎ করেই জল ঢুকে যায় ৷ কতজন আহত হয়েছেন, জানা যায়নি ৷ একজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন ৷ তাঁর নাম বিবেককুমার মাঝি ৷ কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দাবি

    ঘটনার প্রেক্ষিতে খনিগর্ভে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তারা বলছে, শ্রমিকেরা কাজ করার সময় কয়লাখনির দেওয়াল ভেঙে বিপত্তি ঘটে ৷ জল ঢুকে যায়। একজন শ্রমিক জলের তোড়ে ভেসে যান ৷ তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি চারজন ভেসে যাওয়া শ্রমিককে উদ্ধার করা গিয়েছে ৷ তাঁদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় সম্পূর্ণ দায় কর্তৃপক্ষের ৷ আমরা তাদের বহুবার শ্রমিকনিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি ৷ আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি তারা!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)