• ‘গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ মন্ত্রীদের সরানোর কেন্দ্রের বিলের বিরোধিতায় মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • লোকসভায় নতুন বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কোনও মন্ত্রী যদি গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে টানা ৩০ দিন জেলে থাকেন, তবে ৩১তম দিনে তাঁর মন্ত্রিত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারিজ হবে। এই বিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার এই বিল নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, একেবারে হিটলারের মতো এই বিলের মাধ্যমে গণতন্ত্রে আঘাত হানতে চায়ছে কেন্দ্র।


    মমতার অভিযোগ, এই বিল আনার মাধ্যমে আসলে গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, এই আইন কার্যকর হলে আদালতের ক্ষমতাই ছিনিয়ে নেওয়া হবে। ইডি-সিবিআইকে সামনে রেখে নির্বাচিত সরকারগুলির কাজে হস্তক্ষেপ করার রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডলে মমতা আরও লিখেছেন, জনগণের ভোটে সরকার গড়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রস্তাবের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই অমান্য করা হচ্ছে। তদন্ত সংস্থাগুলিকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, যাদের সম্পর্কে একসময় সুপ্রিম কোর্টই বলেছিল, ‘খাঁচাবন্দি তোতা পাখি’।

    মমতার আশঙ্কা, বিলটি কার্যকর হলে বিচারব্যবস্থা স্বাধীনতা হারাবে এবং সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে। তাঁর দাবি, এটা আসলে গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যা জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ঙ্কর।

    উল্লেখ্য, অতীতে পশ্চিমবঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের মন্ত্রিত্ব নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও জেলে বসে পদে বহাল ছিলেন। কারণ, এ বিষয়ে এতদিন কোনও সাংবিধানিক বা আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল না। বুধবার লোকসভায় উত্থাপিত নতুন বিল সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চাইছে বলে কেন্দ্র দাবি করলেও, বিরোধীদের মতে এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার নতুন হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার সময় এসেছে। এই বিল আটকাতেই হবে, নইলে মানুষ ক্ষমা করবে না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)