রাত দখলের কর্মসূচিতে জাতীয় সড়ক আটকানোর অভিযোগে এ বার মামলা দায়ের করল বেহালা থানা। পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। জাতীয় সড়ক আইনের সঙ্গে আরও দু’টি ধারায় এই মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আর জি করে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার এক বছর উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে গত বছরের মতো এ বারও ‘রাত দখল’-এর ডাক দেওয়া হয়েছিল ১৪ অগস্ট। সেই মতো বেহালা থানাএলাকাতেও ওই কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বেহালা থানা এলাকার ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে রাত দখলে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাস্তা আটকে কর্মসূচি চলে। পুলিশের দাবি, ডায়মন্ড হারবার রোডের দু’টি লেন আটকে কর্মসূচি পালিত হয়। যার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা বন্ধ থাকায় তৈরি হয় বিশাল যানজট। ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেও ওই যানজট কাটাতে ভোর হয়ে যায় বলে পুলিশের দাবি। সেই কারণেই পুলিশের তরফে এই মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক আইন, ১৯৫৬-র ৮বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আরও দু’টি ধারায় মামলা হয়েছে। যদিও এফআইআর-এ কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ১৩০ থেকে ১৫০ জনের কথা বলা হয়েছে। যদিও পুলিশের এই এফআইআর প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা কৌস্তভচট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘সে দিন রাস্তার এক পাশে কর্মসূচি হয়েছিল। আসলে সাধারণ মানুষ যে ভাবে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন, তা দেখে পুলিশ ভয় পেয়েছে। পুলিশ যদি আমাদের ডাকে, আমরা দল বেঁধে থানায় যাব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাত দখলের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভার নামে রাস্তা আটকেছিলেন। পুলিশ তা হলে মুখ্যমন্ত্রীকেও ডাকবে তো?’’