• ডুরান্ডের সেমিফাইনালে অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার, জামশেদপুরকে ২-০ হারাল বাংলার দল
    আনন্দবাজার | ১৭ আগস্ট ২০২৫
  • যে জামশেদপুরে গিয়ে জিততে সমস্যা হয় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের, সেই জামশেদপুরকে তাদের ঘরের মাঠে সহজে হারাল ডায়মন্ড হারবার। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার প্রথম বার ডুরান্ড কাপ খেলতে নেমে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠেছে। ২-০ গোলে জিতেছে তারা। সেমিফাইনালে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে তারা।

    গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান ছাড়া বাকি দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেছিল ডায়মন্ড হারবার। এই মরসুমের আগে লুকা মায়েচেন, ক্লেটন সিলভার মতো ফুটবলার সই করিয়েছে তারা। পরিকল্পনা থেকে স্পষ্ট, ভারতীয় ফুটবলে জায়গা করে নিতে চাইছে তারা। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে বাংলার এই ক্লাব।

    কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য কোনও স্ট্রাইকার নন, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন দলের সেন্ট্রাল ব্যাক সাই রুয়াতকিমা। কর্নার থেকে ফিরতি বল পান তিনি। বক্সের মধ্যে থেকে গোল করতে ভুল করেননি রুয়াতকিমা। ১-০ এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার।

    ঘরের মাঠ হলেও বলের দখল রাখতে সমস্যায় পড়ছিল জামশেদপুর। প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় জুড়ে ৬৫ শতাংশ বলের দখল ছিল কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবারের কাছে। এ বার জামশেদপুরে ইস্টবেঙ্গলের নিশু কুমার, ভিপি সুহেররা রয়েছেন। যোগ দিয়েছেন জয়েশ রানেও। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না তাঁরা।

    এগিয়ে যাওয়ার পর খেলার গতি কিছুটা কমায় ডায়মন্ড হারবার। তারা জানত, বেশি আক্রমণ করলে রক্ষণের দরজা খুলে যেতে পারে। সেটা যাতে না হয় সে দিকে নজর দিয়েছিলেন কোচ। ফলে জামশেদপুরের সব আক্রমণ আটকে যাচ্ছিল। বিরতির ঠিক আগেই জামশেদপুরকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন রুয়াতকিমা। আবার গোল করেন তিনি। ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় ডায়মন্ড হারবার।

    ঘরের মাঠে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে জামশেদপুর যে আক্রমণের ঝাঁজ অনেকটা বাড়াবে তা জানতেন ভিকুনা। রক্ষণ সে ভাবেই সাজান তিনি। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ করলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। তার মাঝেই কয়েকটা সুযোগ পায় জামশেদপুর। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের গোলের নীচে এ দিন প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিলেন মিচু মিরশাদ। তাঁকে পরাস্ত করা যায়নি। বেশ কয়েকটি ভাল শট বাঁচান তিনি। যত সময় গড়াচ্ছিল তত চাপ বাড়ছিল জামশেদপুরের উপর। সংযুক্তি সময়ের শেষ দিকে তারা এক গোল শোধ করলেও তা বাতিল করেন রেফারি। শেষ সুযোগও নষ্ট হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)