ভিন্ জেলার পাথরের তৈরি ছোট মনসা প্রতিমার চাহিদা শহরের বাজারে। রবিবার মনসা পুজো। শনিবার দিনভর জমজমাট রইল প্রতিমা ও পুজোর সামগ্রীর বিকিকিনি। তবে, পুজো উপকরণের চড়া দামে বেশ নাজেহাল হতে হল শহরবাসীকে। এ দিকে পাঁচ শতাধিক বছরের পুরনো বৈকুন্ঠপুর রাজ এস্টেটের মনসা পুজো ও মেলা নিয়ে চলল শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
উত্তরবঙ্গের জনজীবনে মনসা পুজোর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বৈকুন্ঠপুর রাজ এস্টেটের পুজো এ বারে ৫১৫ বছরে পড়ল। রবিবার সূচনা হবে পুজো ও মেলার। রবিবার মনসা পুজোর পাশাপাশি থাকছে নন্দোৎসব ও দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজোও। শনিবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন রাজপুরোহিত শিবু ঘোষাল ও রাজ পরিবারের সদস্যরা। মেলায় অস্থায়ী দোকানঘর তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল ব্যবসায়ীদের।
এখনও শহরের অনেক গৃহস্থ বাড়িতেই হয় সর্পদেবীর পুজো। এ দিন ভোর থেকেই দিনবাজার, স্টেশন বাজার, মার্চেন্ট রোড সংলগ্ন এলাকাগুলিতে প্রতিমা ও পুজোর উপকরণ নিয়ে অস্থায়ী ভাবে দোকান দিতে দেখা যায় ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের। মাঝারি আকারের প্রতিমার চেয়ে ছোট আকারের প্রতিমা বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান একাংশ বিক্রেতা। দোকান ভেদে এএ-একটি ছোট মাটির প্রতিমার দাম ১৫০-১৬০ টাকা। অপেক্ষাকৃত একটু বড় আকারের প্রতিমা দোকানভেদে বিক্রি হল ৩০০-৩৫০ টাকায়। এ দিন এক-একটি পদ্ম বিক্রি হল ২৫-৩০ টাকায়। মাটির ছোট সরা ও ঘটের দাম এ বারে ২০ টাকা।
দিনবাজারের ব্যবসায়ী বিকাশ সেন বলেন, ‘‘এ বারে দাম একটু বেশি। আমরাও বেশি দাম দিয়েই সামগ্রী এনেছি। দক্ষিণবঙ্গ থেকে পাথরের ছোট মনসা প্রতিমা এনেছি। তিনশো টাকা দামের ওই প্রতিমা অনেকেই কিনেছেন।’’
এ দিন শহরে ফুলের দামও ছিল চড়া। নিত্যপুজোর জন্য ফুল-বেলপাতার প্যাকেট ১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ দিন তা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গাঁদার মালা বিক্রি হল ৮০-১০০ টাকায়। ফুল বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, জন্মাষ্টমী ও মনসা পুজোর জন্য দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ফুল না আসায় মজুতে ঘাটতি হয়েছে বলে দাবি একাংশ ব্যবসায়ীর।