নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সার্জেন্ট ও কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে এক বাইক চালককে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ঘটনাটি বুধবার রাতের। ধৃতের নাম শুভজিৎ চক্রবর্তী।
রাতের শহরে হেলমেটহীন অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক। বেহালা থানা এলাকার জেমস লং সরণিতে নাকা চেকিংয়ে বাইক চালককে আটক করে ট্রাফিক পুলিস। লাইসেন্স চান জেমস লং সরণি ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট। তাও দেখাতে পারেননি ট্রাফিকবিধি ভঙ্গকারী শুভজিৎ। এরপরই পুলিসের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়ান তিনি। অভিযোগ, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধরও করেন বেপরোয়া বাইক চালক। আক্রান্ত ট্রাফিক সার্জেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাইক চালককে গ্রেপ্তার করে বেহালা থানার পুলিস।
জেমস লং সরণি ও রায় বাহাদুর রোড ক্রসিংয়ের কাছে ডিউটি করছিলেন সার্জেন্ট দেবাশিস দাস ও কনস্টেবল নির্মল ঘোষ। তাঁরা ওয়্যারলেসে খবর পান, এক যুবক বিনা হেলমেটে প্রতিটি ক্রসিংয়ের লাল সিগন্যাল ভাঙতে ভাঙতে আসছেন। সার্জেন্ট ওই বাইক চালককে আটক করেন। জানা যায়, শুভজিতের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। তাঁর বাইকের পলিউশন ও বিমার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। একাধিক ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে জরিমানা হওয়ার কথা জানান সার্জেন্ট। সে সময় পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান বাইক চালক। এরই মধ্যে ২১ বছরের ওই যুবক ফোন করে নিজের বাবাকে ডেকে পাঠান। বাইক চালকের বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাফিক সার্জেন্টের বাইকের চাবি খুলে নেন। এমনকী, তাঁর বডি ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সে সময় কনস্টেবল নির্মল ঘোষ বাধা দিতে গেলে ওই শুভজিৎ তাঁর বুকে ঘুসি মারেন। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন সার্জেন্টও। আহত দুই পুলিসকর্মীকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই বেহালা থানার পুলিস বাইক চালককে গ্রেপ্তার করে।-ধৃত বাইক চালক। নিজস্ব চিত্র