আনন্দ সাহা, লালবাগ: ব্রিটিশ শাসিত ভারতের মুক্তিসূর্য নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পাদস্পর্শে ধন্য হয়েছিল জিয়াগঞ্জ শহরের ভট্টপাড়ার অধিকারীবাড়ি। অধিকারী পরিবারের বর্তমান সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কেউই জিয়াগঞ্জে থাকেন না। তাঁরা কর্মসূত্রে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন। ফলে ভবনটি দেখভালের অভাবে জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। বাড়ির চত্বরে গজিয়ে ওঠা আগাছায় গেট থেকে অন্দরমহলের পথ ঢাকা পড়েছে। নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সংরক্ষণের দাবিতে শহরবাসী ও নেতাজী অনুরাগীরা সরব হয়েছেন।
১৯২৯-১৯৩৯সাল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহা সন্ধিক্ষণ বলে বিবেচিত। ওই ১০বছরে ভাগীরথীর পূর্বপাড়ের প্রাচীন জনপদ জিয়াগঞ্জে ভট্টপাড়ার সুকুমার অধিকারীর বাড়িতে চারবার এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র। ১৯২৯সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী তাজবাহাদুর দুগারের হয়ে প্রচার করতে প্রথমবার জিয়াগঞ্জে আসেন। প্রচারে এসে সুকুমার অধিকারীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন তিনি। এরপর ১৯৩৭, ১৯৩৮ এবং ১৯৩৯সালে তিনবার ভট্টপাড়ার অধিকারী বাড়িতে এসেছিলেন নেতাজী।