নব্যেন্দু হাজরা: কাটা রুটে অটো চলে বলে জানা ছিল। কিন্তু কাটা রুটে মেট্রোও ছুটছে! আশ্চর্য হচ্ছেন? খবর কিন্তু ঠিকই। ডাউনে ব্লু লাইনের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ। কিন্তু দিন কয়েক আগে সেখানে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দেওয়ায় সেই স্টেশনটি অনির্দিষ্টকালের মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন তার বদলে শহিদ ক্ষুদিরাম প্রান্তিক স্টেশন। কিন্তু ডাউন লাইনের বহু মেট্রো থেমে যাচ্ছে টালিগঞ্জ তথা মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে। মেট্রোর ভিতরে ঘোষণা করে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। ফাঁকা রেক টালিগঞ্জ থেকেই দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আচমকা মেট্রো কর্তৃপক্ষের এহেন বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের এভাবে মহানা স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ায় কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনে। চরম সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা ক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিনের পর দিন মেট্রো পথের এই বেহাল দশা। অর্ধেক দিন নানা কারণে বিপত্তি, তার উপর এখন ‘কাটা রুটে’ মেট্রো চলছে। তাতে আসলে যাত্রীরাই চরম বিপদে পড়ছেন।
মেট্রোপথে ভোগান্তি যেন নিত্যসঙ্গী এখন যাত্রীদের। বিভিন্ন স্টেশনে মেট্রো থমকানোর অভিযোগ ছিলই, আর নতুন সমস্যা কাটা রুটে মেট্রো। বেশ কিছু ডাউন ট্রেন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনেই থেমে যাচ্ছে ইদানীং। যাত্রীদের মেট্রোর কোচ ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। আচমকাই ট্রেন ফাঁকা করার ঘোষণায় হতচকিত হয়ে যাচ্ছেন। হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে স্টেশনে। ধাক্কাধাক্কিতে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কবি সুভাষ বন্ধের কারণেই এই বিপত্তি। ট্রেনের অভিমুখ বদলাতে সময় বেশি লাগছে। ফলে মেট্রো বাঞ্চিং হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে অনেক ট্রেনই আচমকা উত্তমকুমারে থামিয়ে ক্রসওভার দিয়ে আপ লাইনে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রেন। আর তাতেই এই সমস্যা।