বরুণ সেনগুপ্ত: বরানগরে মহিলাকে কটুক্তি পার্শ্ববর্তী আবাসনের মিস্ত্রিদের,কটুক্তির প্রতিবাদ করায় মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ,রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলা ভর্তি বরানগর হাসপাতালে।
বরানগর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহারাজা নন্দকুমার রোড এলাকায় তনুশ্রী ভট্টাচার্য নামে এক মহিলা তার বাবাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তার বাড়ির পাশে একটি আবাসন তৈরির কাজ চলছে। সেই আবাসনের কর্মরত মিস্ত্রিরা ওই মহিলার বাড়ির বাথরুমে উঁকি মারত। মহিলাকে অশালীনভাবে নানারকম কটূক্তি করে। যুবতীর বাবাকেও কোদাল দিয়ে অভিযুক্তরা মারার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আবাসনের তিনতলায় জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তিনজন মিস্ত্রি মিলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মহিলা বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে মহিলা নিচে গিয়ে সবাইকে জানায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত সেই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে বরানগর হাসপাতালে।
তিনি আরও বলেন, 'একদিন আমার মা বাথরুমে ছিলেন। সেইসময় বাথরুমে উঁকি মেরে দেখছিলেন একজন মিস্ত্রি। একদিন আমি বাথরুমে স্নান করছিলাম। তখন বাথরুমে টর্চ মারে। ঘটনাটি আমি মেইন মিস্ত্রিকে জানাই। কিন্তু, তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।'
এদিন সকালে আক্রান্ত যুবতী বাড়ির নিচে ব্রাশ করছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সেইসময় ভিডিয়ো করছিলেন ওই মিস্ত্রি। এর প্রতিবাদ করেন তিনি। তখন তাঁকে হাত ধরে নির্মীয়মাণ আবাসনে টেনে নিয়ে যান ওই মিস্ত্রি। কাঁদতে কাঁদতে মহিলা বলেন, 'আমার মুখ চেপে ধরে টেনে আবাসনে নিয়ে যায়। আমার সারা শরীরে হাত বুলিয়েছে। আমি যখন বলছি, ছাড়ো-ছাড়ো, তখন বাঁশ দিয়ে মেরেছে। আমি চিৎকার করি। আমার মা-বাবা গিয়ে বাঁচায়। তখন আমার বাবাকে কোদাল দিয়ে মারতে যায়। আমার বাবা ওই মিস্ত্রির পায়েও ধরেছে।'
ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের। হাসপাতালে চিকিৎসার পর বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর পরিবার।