• নবান্ন অভিযানে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারের ঘটনায় বাড়ল ধৃতের সংখ্যা, এ বার নৈহাটির বাসিন্দা গ্রেফতার
    আনন্দবাজার | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় আরও এক জন গ্রেফতার। বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মানসচন্দ্র সাহার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ অগস্ট পুলিশ কনস্টেবলকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় সরাসরি অভিযুক্তের যোগ রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। এই নিয়ে নবান্ন অভিযানে পুলিশকর্মীকে হেনস্থা এবং মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন।

    মঙ্গলবার চন্দন গুপ্ত নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর বাড়িও উত্তর ২৪ পরগনায়। জগদ্দলের বাসিন্দা চন্দনকে মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একটি সূত্রে খবর, চন্দন বিজেপি কর্মী। ধৃতকে বুধবার ব‍্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে মানসের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর এবং বিশৃঙ্খলা তৈরিতে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত ছিলেন, সে সব খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

    গত ৯ অগস্ট ছিল আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের এক বছর। সেই ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার অধরা, এমন দাবি তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু বিজেপি কর্মীও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কারও হাতে ছিল না দলীয় পতাকা। ধর্মতলা থেকে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেওয়া মিছিল পার্ক স্ট্রিটেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক কনস্টেবলকে রাস্তায় ফেলে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। মারধরের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেন নৈহাটির মানস।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)