দেব গোস্বামী, বোলপুর: মজুরির আশায় কাজ করেছিলেন। পাওনা টাকা পাননি। তাই তা চেয়েছিলেন। সেটাই যেন তাঁর ‘অপরাধ’। বাংলার শ্রমিকের কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থূল।
বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুকুর পাড়ার বাসিন্দা রাহুল সিং। জানা গিয়েছে, ৫-৬ মাস আগে মুম্বইয়ের মালাট এলাকায় ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার জন্য ঠিকাদারের কাছে তাঁর মজুরির টাকা চান। পাওনা ২০ হাজার টাকা না মেলায় স্থানীয় থানায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, সে কারণে ঠিকাদারের তিন-চারজন লোক তাঁর দুই কান কেটে দেয়। যন্ত্রণায় সেখান থেকে কোনরকমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। স্থানীয় হাসপাতালে যান। চিকিৎসা করান। তবে তাঁর কেটে দেওয়া কান দু’টি জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। এরপর বীরভূমের নলহাটির বাড়িতে ফিরে আসেন।
রাহুলের চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, “ভয়ে কোনওমতে পালিয়ে এসেছি। ব্যাগে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ছিল, সব ফেলে এসেছি। মোবাইল তো আগেই নিয়ে নিয়েছিল ওরা।” এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত রাহুলের মা-ও। তিনি বলেন, “পাঁচ-ছ’টা ছেলে মিলে এই কাণ্ড করেছে। আমার হাতে টাকা নেই। ছেলেকে দেখে কিছুই বুঝতে পারছি না, কী করব!” স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বারবার ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। তারই মাঝে এই ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনের উদ্বেগ যে আরও খানিকটা বাড়ল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।