• জাতীয় সড়কের দশ জায়গায় বসছে আলো, উদ্যোগ নিল ট্রাফিক বিভাগ
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: রাত হলেই ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। কারণ ওই এলাকাগুলিতে রাস্তায় কোনও আলো নেই। প্রায়ই জাতীয় সড়কের ওই জায়গাগুলিতে রাতে দুর্ঘটনাও ঘটে। সুন্দরবন পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এমন ১০টি স্থানকে চিহ্নিত করে আলো বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কুলপিতে ছয়টি, হারউড পয়েন্ট কোস্টালে একটি, কাকদ্বীপে দুইটি ও ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার অধীনে একটি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলির নাম উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে আলো বসানোর আবেদন জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও কাকদ্বীপ ব্লকের বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করা টোটো ও মেশিনভ্যানগুলির পিছনে রেডিয়াম টেপ এবং আলো বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলমান অবস্থায় পিছনের দৃশ্য দেখার জন্য চালকের সামনে আয়না লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সুন্দরবন পুলিস জেলা জুড়ে টোটোর সংখ্যা এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাকদ্বীপ ব্লকের বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় দশ হাজার টোটো চলাচল করে। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সম্প্রতি ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকরা টোটো ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপরই এমন বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে সেই নির্দেশগুলি মেনে চলা না হলে, পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    সুন্দরবন পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগের ডিএসপি কমল মাইতি বলেন, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকী রাতে পুলিসি পাহারাও বাড়ানো হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় কোনও চালক গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, পুলিস বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা পরীক্ষা করছে। এছাড়াও গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘লেজার স্পিড গান’ বসানো হয়েছে। গাড়ির বেপরোয়া গতিবেগ দেখলেই কেস দেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি থানাগুলিকেও রাতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)