চালচিত্র সহ প্রতিমা হবে ৪০ ফুটের মধ্যে বিধাননগরের পুজো কমিটিগুলিকে জানাচ্ছে পুলিস
বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: থিম শিল্পীর ভাবনায় সেজে উঠছে মণ্ডপ। প্রতিমাকে জীবন্ত করে তুলতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। পুজো আসছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। হাতে আর সময় কোথায়? তবে সুরক্ষার স্বার্থে গগনচুম্বী প্রতিমা নয়! ‘সুপার স্ট্রাকচার’ অর্থাৎ চালচিত্র সহ প্রতিমার উচ্চতা রাখতে হবে ৪০ ফুটের মধ্যে। শুধু প্রতিমার উচ্চতা হতে হবে ২০ ফুটের মধ্যে। পরিবেশ দপ্তরের এই নির্দেশিকা বিধাননগরের পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়ে দিচ্ছে পুলিস। শুধু উচ্চতা নয়, সেই সঙ্গে প্রতিমায় যাতে পরিবেশবান্ধব রং ব্যবহার করা হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। জলের সঙ্গে ওই রং মিশে গিয়ে পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্যই এই উদ্যোগ।
বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় অন্যতম বড় পুজো হয় শ্রীভূমিতে। লক্ষাধিক দর্শনার্থীর ভিড় জমে। শ্রীভূমি সহ লেকটাউন, সল্টলেক, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রাজারহাট, নারায়ণপুর, নিউটাউন মিলিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন ৬০০’র বেশি দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে প্রায় ১০০ পুজো বিগ বাজেটের। এই পুজোগুলিতে কার্যত জনস্রোত বয়ে যায়। প্রতি বছরই পুলিসের পক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়। সম্প্রতি পাশাপাশি দু’টি থানার পুজো কমিটিকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক করছে পুলিস। সেখানে যাবতীয় বিধিনিষেধের কথা বলে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিধাননগরের ৬০০’র বেশি পুজো কমিটিকে একসঙ্গে ডেকে সমন্বয় বৈঠক করবেন পুলিস কমিশনার।
পুলিস জানিয়েছে, ২০১৮ সালে রাজ্য পরিবেশ দপ্তর একটি গেজেট নোটিফিকেশন বের করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সুপার স্ট্রাকচার মিলিয়ে প্রতিমার উচ্চতা ৪০ ফুটের মধ্যে এবং শুধু প্রতিমার উচ্চতা ২০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। সেই নির্দেশের কথাই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। এছাড়াও প্রবেশ ও প্রস্থানের পৃথক ও প্রশস্ত গেট, প্যাণ্ডেল চত্বরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম রাখতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা সহ সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানানো হচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। সেই সঙ্গে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে শব্দবাজি ব্যবহার না করা হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হচ্ছে।