প্রভু জগন্নাথের মহিমা! দীঘার মন্দিরের উপর রামধনু, স্বর্গীয় দৃশ্য দেখতে ভিড়
বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: আগামী পরশু জন্মাষ্টমী তিথি। তার আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন কয়েক হাজার ভক্ত। মন্দিরের ঠিক উপরে আকাশে তখন রামধনু আলোর বলয়। তার মাঝে সূর্য। মন্দিরে আসা পর্যটকরা এমন অবাক করার মতো ঘটনা মোবাইলবন্দি করেন। মুহূর্তে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীও ছবিটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে স্বয়ং ভগবান জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদেই তাঁর নব আলয়ে এমন আশ্চর্য দৃশ্য বলে দাবি ভক্ত থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দিরের ঠিক উপরে অপূর্ব এই রামধনু বলয় নেট পাড়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কলকাতা ইস্কনের সহ সভাপতি তথা জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, ‘এমন স্বর্গীয় দৃশ্য স্বয়ং ভগবানের আশীর্বাদ। মন্দিরের উপর সূর্যকে আলিঙ্গন করা অপূর্ব রামধনু বলয় দেখে আমরা ভীষণ আনন্দিত।’ বুধবার সকাল থেকে দীঘার আকাশ রোদ ঝলমলে। রাখি পূর্ণিমা থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ঊর্ধ্বমুখী। রোজ ২০ থেকে ২৫ হাজার ভক্ত লাইন দিয়ে মন্দিরে ঢুকছেন। বুধবারও সকাল থেকেই ভক্তদের লাইন পড়ে যায়। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের ঝাঁঝ বেশ বাড়ছিল। সাড়ে ১১টা নাগাদ মন্দিরের চূড়ার উপর আকাশে গোলাকার রামধনু বলয় নজরে পড়ে। তার মাঝখান থেকে সূর্যের কিরণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। এমন অভাবনীয় দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভক্তরা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও করেন। কিছুক্ষণ পর রামধনু আবার অদৃশ্য হয়ে যায়।
এদিকে, ক্যামেরাবন্দি ছবি নিমেষেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ছবি ঘিরে চর্চায় মেতে ওঠেছ নেটপাড়া। রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নামে এক ভক্ত লাইভ ভিডিও করেন। তিনি বলেন, ‘অতীতে এভাবে গোলাকার রামধনু কখনও দেখিনি। আমরা আগে ডিম্বাকৃতি রামধনু দেখেছি। কিন্তু, বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের উপর যে আকারের রামধনু দেখলাম তা অভিনব। সম্পূর্ণ গোলাকার। রামধনু যেন ভগবান জগন্নাথদেবকে রক্ষা করে রেখেছে। এমন ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।’ দীঘা জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার হলিডে হোমের ম্যানেজার দিলীপকুমার ভুঁইয়া বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মন্দিরের উপর গোলাকার রামধুন নিয়ে হইচই পড়ে যায়। আমিও বাইরে বেরিয়ে সেই ঘটনার সাক্ষী হই। ভক্তদের মধ্যে এনিয়ে প্রবল উদ্দীপনা তৈরি হয়। অনেকেই মোবাইল বের করে মন্দিরের সঙ্গে ওই গোলাকার রামধনুর ছবি তুলে রাখেন। এরআগে সত্যি এমন দৃশ্য কখনও দেখিনি। সম্ভবত জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদে আমরা এমন ঘটনার সাক্ষী রইলাম।’