• বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতারণার নালিশ বুথ সভাপতির, লক্ষাধিক টাকা নিয়ে কাজ করেননি, তোলপাড় দাঁতন
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বেলদা: বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দফায় দফায় টাকা নিয়ে কাজ না করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। রাজ্য সভাপতির কাছে সেই অভিযোগ আনলেন দলেরই বুথ সভাপতি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দাঁতনে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত মণ্ডল। তাঁর দাবি, এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে।

    দাঁতন থানার আঁইকোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশমি উচিৎপুর বুথে বিজেপির বুথ সভাপতি চন্দনকুমার দাসের অভিযোগ, গত ২০২১ সালে ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা নবকুমার মাহালকে গোয়ার পুলিস গ্রেপ্তার করে। একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই যুবকের পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তৎকালীন স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি বিজয় ঘোষের মধ্যস্থতায় বর্তমান জেলা সভাপতি পেশায় উকিল শমিত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চন্দনবাবুর অভিযোগ, ওই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন ও তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি পুনরুদ্ধার করে দেওয়ার জন্য আড়াই লক্ষ টাকার চুক্তি হয় শমিতবাবুর সঙ্গে। আর সেই মোতাবেক ২০২৪ সালের মার্চ মাসে মণ্ডল সভাপতির উপস্থিতিতে নগদ এক লক্ষ টাকা ও পরে আরও প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

    চন্দনবাবু বলেন, চুক্তি মোতাবেক টাকা দিলেও কোনও কাজ করেননি শমিত। ওই যুবকের পরিবার টাকা ফেরতের জন্য আমার ঘর ঘেরাও করছে। শমিতবাবুকে বার বার জানালেও তিনি কোনও জবাব দেননি। এমনকী ফোন‌ও তোলেননি। এর ফলে আমি খুব সমস্যার মধ্যে আছি। কোনও সুরাহা না পেয়ে শেষমেশ রাজ্য সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ মেল মারফত পাঠিয়েছি। আশা করি এর সুরাহা হবে।

    এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানান বিজেপির বর্তমান মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শমিত মণ্ডল। তিনি বলেন, আমি পেশায় আইনজীবী। পেশার সূত্রেই আমার সঙ্গে বেশ কিছু কাজের চুক্তি হয়েছিল। সেই মোতাবেক আমি গোয়ায় গিয়েছি এবং আইনত যে যে কাজ করার তা করেছি। কিন্তু যাদের কাজ করেছি তাদের আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও জানি না কেন, কোন উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ তুলছেন চন্দনবাবু। এর ভেতরে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আমি এই অভিযোগ নিয়ে আইনত ও দলগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, যে দলের নেতারা দলীয় কর্মীদের অর্থ আত্মসাৎ করতে পিছপা হয় না তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে। এদের চরিত্র সাধারণ মানুষের কাছে আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)