• সোনামুখীতে তৃণমূলকর্মী খুনে গ্রেপ্তার দলেরই বুথ সভাপতি
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: সোনামুখীর চকাই গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় এবার দলেরই বুথ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম নাসিম শেখ। তার বাড়িও চকাই গ্রামেই। মঙ্গলবার রাতে তাকে পুরুলিয়ার মানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিস নাসিমের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তারা পুলিস হেফাজতে। বুধবার নাসিমকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকেও পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিস জানিয়েছে, সোনামুখীর খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। 

    তৃণমূল কংগ্রেসের সোনামুখী ব্লক সভাপতি বামাচরণ গড়াই বলেন, চকাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আমাদের দলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে।  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখীর চকাইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নাসিম শেখ ও দলের অপর এক সক্রিয় কর্মী সেকেন্দার শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। উভয়ের মধ্যে একসময় বুথ এলাকায় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ফলানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চলতি বছরের ১ মার্চ গ্রামে একটি নিকাশি নালা তৈরিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। তখনই নাসিম গুলিবিদ্ধ হন। যদিও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই ঘটনায় পুলিস সেকেন্দার ও তার দুই অনুগামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে সেকেন্দার জামিনে মুক্তি পান। গ্রামে ফেরার পরেই উভয়ের মধ্যে পুরানো দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দেয়। সেকেন্দারের অনুগামীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় নাসিম ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাত ন’টা নাগাদ বড়জোড়ার পখন্না বাজার থেকে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় চকাই গ্রাম থেকে ১ কিলোমিটার আগে ফাঁকা রাস্তায় সেকেন্দার গুলিবিদ্ধ হন। দুষ্কৃতীরা খুব সামনে থেকে পরপর তিনটি গুলি করায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই জনরোষ থেকে বাঁচতে নাসিম গা ঢাকা দেয়। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিস তার দুই ছেলে ইব্রাহিম শেখ ও হাসিম শেখকে গ্রেপ্তার করে।  মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়ার মানবাজারে এক বন্ধুর বাড়িতে নাসিম লুকিয়ে রয়েছে। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সোনামুখী থানার পুলিস সেখানে হানা দেয়। মানবাজার পুলিসের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে সোনামুখীতে আনা হয়। বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।  
  • Link to this news (বর্তমান)