• কোচবিহার রাজবাড়ির সামনে হাঁটুজল, মন্ত্রীর নির্দেশে দিনহাটা শহরে নামল বিশেষ টিম
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, দিনহাটা: জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কোচবিহারবাসী। বুধবার ভোররাত থেকে একটানা বৃষ্টির জেরে রাজবাড়ির সামনে একহাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত থেকেই ভারী বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দিনহাটা শহর। চড়কমাঠ, মদনমোহন বাড়ি, শীতলাবাড়ি, বোর্ডিংপাড়া সহ শহরের বহু নিচু জায়গায় হাঁটুসমান জল জমে থাকে দুপুর পর্যন্ত। সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। দ্রুত জল নামাতে পুরসভাকে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রীর নির্দেশে পুরসভার একটি বিশেষ টিম দ্রুত নালা সাফাইয়ের কাজে নামে। 

    কোচবিহার শহরের রাজবাড়ির গেটের সামনেই শুধু জল জমেনি, কেশব রোড বিকেল পর্যন্ত জলের তলায় থাকে। মিনি বাসস্ট্যান্ডের সামনে, রাজ রাজেন্দ্রনারায়ণ রোডেও জল জমে থাকে। দিনহাটার রাস্তাঘাটে জল জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এদিকে, মন্ত্রীর নির্দেশে দিনহাটা শহরের জলমগ্ন এলাকার নিকাশি নালার মুখ পরিষ্কার করা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক জায়গায় উন্মুক্ত নালা ঢাকতে কংক্রিটের স্ল্যাব বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নালার উপর দোকান বানিয়েছেন। তাই এদিন লোকজনকে হাঁটুসমান জল ভেঙেই যেতে হয় কর্মস্থলে। 

    দিনহাটার আইনজীবী নীহাররঞ্জন গুপ্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নালার উপর কংক্রিটের স্ল্যাব বসিয়ে দোকান করা হচ্ছে। ফলে নিয়মিত নালা পরিষ্কার হচ্ছে না। সারাদিন জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে। আদালত চত্বরে লোকজন ছিল হাতেগোনা। 

    তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা দে নন্দী বলেন, বলরামপুর রোডের চড়কমাঠ থেকে মহামায়াপাঠ পর্যন্ত একটি হাইড্র্যান্ট তৈরি করা হবে। শহরের সব ওয়ার্ডেই পুরকর্মীদের জমা জল বের করতে কাজে নামানো হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে স্পেশাল টিম তৈরি করে নিকাশি নালার মুখ পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই দ্রুত জল নামছে। 

    উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে শহরের একাধিক জায়গায় জল জমেছে। প্রশাসন ও পুরসভাকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। দিনহাটা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)