সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহলের মানুষজন। এহেন পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নির্দেশেই এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। আগামীকাল শুনানি হবে পথকুকুর মামলায়।
দিল্লিতে পথকুকুরদের কামড়ে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যু- দুটোই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, এই সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই সোমবার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরকে অবিলম্বে ধরতে হবে। তাদের নির্বীজকরণ করিয়ে পাঠাতে হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতটা প্রয়োজন বলপ্রয়োগ করে পথকুকুরদের ধরতে হবে। কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হবে। শীর্ষ আদালতের মতে, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের প্রতিবাদে সেলিব্রিটি থেকে আমজনতার বিরাট অংশ সরব হয়েছেন। তারপরেই বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি বলেন, “সারমেয়দের নিয়মিত নির্বীজকরণ এবং টিকাদানের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।” কিন্তু কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, ২০২৪ সালে দিল্লির পথকুকুরদের নির্বীজকরণ এবং টিকাদান নিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। বলা হয়েছিল, রাজ্যের প্রশাসন বিষয়টির দিকে মনযোগ দিচ্ছে না। বুধবার সেই মামলাটিরও শুনানি ছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে ননিতা শর্মা নামে এক আইনজীবী জানান, পথকুকুরদের নিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের দু’টি নির্দেশ রয়েছে এবং দু’টির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আগের একটি বেঞ্চ জানিয়েছিল, নির্বীজকরণের পর পথকুকুরদের ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের নির্দিষ্ট এলাকায়। কিন্তু সোমবার বলা হয়েছে কুকুরদের রাখতে হবে শেল্টারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি চেয়ে আবেদন জানান ননিতা। তারপরেই প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়াকে নিয়ে বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। সেখানেই বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে।