ছাপিয়ে যাবে ‘বন্দে ভারত’কে, হবে না দূষণও! আসছে সুপারফাস্ট হাইড্রোজেন ট্রেন
প্রতিদিন | ১৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাপিয়ে যাবে ‘বন্দে ভারত’কে। হবে না দূষণও! এবার আসছে সুপারফাস্ট হাইড্রোজেন ট্রেন। ঘন্টায় যার গতিবেগ ১৬০ কিমি। সবচেয়ে খুশির খবর হল, ট্রেনটি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। হয়েছে ট্রায়াল রানও। নয়া সেই হাইড্রোজেন ট্রেনের ফার্স্ট লুক দেশবাসীর কাছে প্রকাশ্যে এনেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সুন্দর একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়,বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর গৌরব অর্জন করবে ভারতবর্ষ। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে যেখানে এই ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। সেখানেই ট্রায়াল রানও সম্পূর্ণ। এবার শুধু অপেক্ষা কবে সেই অত্যাধুনিক ট্রেন আমজনতার পরিষেবার জন্য আনবে রেল।
এবার বিষয়টা হচ্ছে দেশের অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ঠিক কতটা আলাদা এই হাইড্রোজেন রেল? এই নতুন ট্রেন যে ডিজেল কিংবা বিদ্যুতের দ্বারা চলবে না সেটা নিশ্চয় এর নাম শুনেই বুঝতে পারছেন। ডিজেল এবং ইলেকট্রিক দু’টির মাল্টিপল ইউনিট রেকেই এই হাইড্রোজেন সেলকে যুক্ত করা হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারণ, হাইড্রোজেন ভিত্তিক জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব। তাই বাতাসে ‘বিষ’ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার জিন্দে অবস্থিত ইলেকট্রোলাইজার থেকে পলিমার ইলেকট্রোলাইট মেমব্রেনের মাধ্যমে ১ মেগাওয়াট হাইড্রোজেন জ্বালানি পাঠানো হবে। তা দিয়েই উৎপাদিত হবে ৪৩০কেজি হাইড্রোজেন। ট্রেনের দুই প্রান্তে থাকবে অভিনব এই হাইড্রোজেন ইঞ্জিন।
প্রতি ঘন্টায় এই ট্রেনের গতি হতে চলেছে কমবেশি ১৬০ কিমি। অতএব গতির নিরিখে ১২০০ হর্সপাওয়ারের এই নয়া ট্রেন বন্দে ভারতকে পিছনে ফেলে দেবে। এক একটি ট্রেন তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। আপাতত, ৭০ কোটি টাকা হাইড্রোজেন ট্রেনের ট্র্যাক তৈরিতে খরচ করা হবে।
দেশে পর্যটনকে নয়া দিশা দেখাবে হাইড্রোজেন ট্রেন। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাজ্যসভায় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘হাইড্রোজেন ফর হেরিটেজ’-এর উদ্যোগে গোটা দেশে সবমিলিয়ে ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানো হবে। পাইলট প্রজেক্টে আপাতত হরিয়ানার জিন্দ থেকে সোনিপত পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন। পরে আরও বিভিন্ন রুটে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের।
নতুন হাইড্রোজেন ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের বিষয়টিতে যথেষ্ট নজর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ২৬৩৮টি আধুনিক স্টাইলের আসন থাকবে এই ট্রেনে। প্রতি ট্রেনে ৮টি কোচ থাকবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য প্রতি কম্পার্মেন্টে থাকবে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।