• 'বাংলা ছবি চালিয়ে লোকসান হলে?', প্রশ্নে ঢোঁক গিললেন হলমালিকরা, কী বলছেন নিসপাল?
    এই সময় | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • হিন্দি ছবির দাপটে বহু বার কোণঠাসা হয়েছে বাংলা সিনেমা। এবার সেই চিত্র বদলাতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। বুধবার জারি হল এক ঐতিহাসিক নির্দেশিকা— বাংলা ছবিকে বাঁচাতে বদলে দেওয়া হল ‘প্রাইম টাইম’-এর সংজ্ঞা। দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়কে এখন থেকে ধরা হবে প্রাইম টাইম হিসেবে, এবং এই সময়সীমায় সারা বছর প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে অন্তত একটি বাংলা ছবির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এতে কতটা খুশি ডিস্ট্রিবিউটার এবং হলমালিকরা?

    এ দিন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রী এবং পশ্চিমবাংলার ফিল্ম অ‍্যাকাডেমির চেয়ারম‍্যান অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ফের বৈঠক বসেছিলেন টলিপাড়ায় পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী- সহ প্রেক্ষাগৃহের মালিক এবং ডিস্ট্রিবিউটররা। এর আগে ৭ অগস্ট হয়েছিল প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকেই সরকারের নির্দেশিকার কথা জানানো হলে, সকলে তাতে সম্মতি জানান। তবে এখানেই থাকছে বড় প্রশ্ন। সারা বছর প্রাইম টাইমে বাংলা ছবির প্রদর্শন করতে গিয়ে যদি লোকসান হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে? কী করবেন হলমালিক, ডিস্ট্রিবিউটররা?

    প্রসঙ্গত, এদিন সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সিঙ্গল স্ক্রিন হলে বছরে অন্তত ৩৬৫টি প্রাইম টাইম শো বাংলার জন্য বরাদ্দ করতে হবে। দু’টি স্ক্রিনে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৭৩০টি, তিনটি স্ক্রিন হলে ১০৯৫ এবং চারটি স্ক্রিন হলে ১৪৬০টি শো পাবে বাংলা ছবি।

    এই নির্দেশিকা নিয়ে আপাতত কোনও আপত্তি নেই হলমালিক ও ডিস্ট্রিবিউটার শতদীপ সাহা বা হলমালিক সুরঞ্জন পালের। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে? শতদীপের দাবি, ‘আগে শুরুটা তো হোক। বাংলা ছবির জন্য এটা খুব ভালো উদ্যোগ। আগে থেকেই আমরা নেগেটিভ কিছু ভাবছি না। আমরা প্রথমে ভালো শো দেব বাংলা ছবিকে। এর পর যদি না চলে, তখন না হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কী করা যায়! আগে তো বাংলা ছবি সুযোগটা পাক।’ মিনার, বিজলী ও ছবিঘরের মালিক সুরঞ্জন পাল আবার বলেন, ‘দেখুন বাংলা ছবিকে যদি সকলে মিলে সমর্থন না করি, সেটা তো আমাদেরই ক্ষতি। ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে, দেখাই যাক কী হয়!’

    প্রযোজক নিসপাল সিং আবার এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাকে বলুন তো, ক’টা হিন্দি ছবি চলে? চার-পাঁচটার বেশি তো নয়। তখন কেউ এই প্রশ্ন তোলে না কেন? বাংলা ছবির ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের প্রশ্ন আসছে?’ শ্রীকান্ত মোহতা আবার বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পর অনেক বেশি ছবি তৈরি হবে টলিউডে। কাজের সুযোগও পাবে বহু মানুষ। এটা বাংলা চলচ্চিত্রে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে। হিন্দি সিনেমার মতো ১০০ কোটি আয়ের স্বপ্ন আমরাও দেখব।’
  • Link to this news (এই সময়)