• কলকাতার নামী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! কসবায় গ্রেফতার মহিলা
    আনন্দবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • শহরের নামী স্কুলে এক শিশুকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর মায়ের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার কসবায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে পাকড়াও হন অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর নাম সোমাইলা আসিফ। ৪০ বছরের ওই মহিলা একবালপুরের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে একটি প্রতারণাচক্রের ফাঁদে পড়েন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন ওই মহিলা। ওই অভিভাবিকা মোট তিন জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার নামী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন শীলা স্বামী ওরফে মার্গারেট জ়েভিয়ার, রোজ়ি জ়েভিয়ার এবং রেকার্ডো পল জ়েভিয়ার। অভিভাবকদের আস্থা অর্জনের জন্য স্কুলে ভর্তির করার (নকল) ফর্ম এবং স্কুলের স্ট্যাম্প দেওয়া রসিদ তৈরি করে দিয়ে দিতেন তাঁরা। সোমাইলার অভিযোগ, তাঁর সন্তানকে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানে ভর্তি করানোর নাম করে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। কখনও নগদে কখনও ইউপিআই লেনদেনে ওই টাকা দেন তিনি।

    যদিও মোটা টাকা খরচ করেও সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি ওই অভিভাবকেরা। টাকা ফেরত চেয়ে সেটাও পাননি। প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত বুধবার সকালে মার্গারেট ওরফে শীলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কসবার একটি আবাসনের বাসিন্দা অভিযুক্ত। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে মহিলাকে ধরা হয়।

    মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, মোট ৩২ বার অভিযোগকারিণী তাঁকে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত, প্রায় এক বছরের মধ্যে অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৮০০ টাকা পাঠিয়েছেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগ অনুযায়ী, এ ছাড়াও ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নগদ নিয়েছিলেন ওই মহিলা। তার পর ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং ৬০ হাজার টাকার দুটি চেকও নেন তিনি।’’

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, আর কাউকে এই ভাবে ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)