রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়েই গাড়িতে বিষ্ফোরণ। আবার ওই রেলিংয়ের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন এক ডেলিভারি বয়। রেলিং ও গাড়ির মাঝে পড়ে ভয়ানক দুর্ঘটনার শিকার হন যুবক। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁর। সল্টলেক ও কেষ্টপুরের মাঝে এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে গোটা ঘটনায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি চরমে পৌঁছালে সেখানে র্যাফ নামানো হয়। কিন্তু তার পরেও ইটবৃষ্টি করে স্থানীয়রা।
সল্টলেক ও কেষ্টপুরের মাঝে ঘটনাটি ঘটে। ৮ নম্বর ফুটব্রিজের কাছে বুধবার বিকেলে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। কোনওভাবে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন একজন ডেলিভারি বয় তাঁর বাইক নিয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায় দাউদাউ করে। কোনওরকম স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে গাড়ির যাত্রীদের। কিন্তু ডেলিভারি বয় বাইকসমেত গাড়ি ও রেলিংয়ের মাঝে আটকে যাওয়ায় তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গাড়ির আগুনেই পুরো দগ্ধ হয়ে যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন আনন্দবাজারকে বলেন, ‘পুলিশের সামনেই যা হওয়ার হয়েছে। পুলিশ কিছু না করে ভিডিয়ো বানাচ্ছিল। আমরা ছুটে গিয়ে গাড়ি থেকে লোকজনকে উদ্ধার করি। চালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এটা হত না।’ অন্য আরেকজনের কথায়, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। বালতি দিয়ে জল ঢেলেছি। এত আগুন, আমরা ধারেকাছেই যেতে পারিনি। ছেলেটা পুড়ে গেল।’
গাড়ি থেকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ইটবৃষ্টি শুরু হয়। এর পরেই র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলে। এক পুলিশ আধিকারিক অবশ্য সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এসে দেখি, একটা গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে এবং এক জন মারা গিয়েছেন। সেই দেহ আমরা উদ্ধার করি।’