অর্ণব দাস, বারাকপুর: RTO-তে গিয়ে গাড়ির মালিকানা বদলের অভিযোগ। গাড়ি ভাড়া নেওয়ার নামে জালিয়াতি। শাসন থানায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তাকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। এই জালিয়াতির সঙ্গে কৃষ্ণনগরের আরটিও দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক যুক্ত। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পানিহাটির নাটাগড় কালীতলা এলাকার বাসিন্দা সহেলি বসু ও তাঁর স্বামী গাড়ি ভাড়া দেন। তাঁর গাড়ি ভাড়া নিত আশিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। দিনকয়েক আগে গাড়ি ভাড়া নেয় আশিক বিশ্বাস। অভিযোগ, মাঝে চার-পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পরেও গাড়ির কোনো খোঁজখবর পাচ্ছিলেন না সহেলি। আশিকের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না তাঁরা। বাধ্য হয়ে গাড়ির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করেন। দেখা যায়, তাঁদের গাড়ি রয়েছে শাসন থানা এলাকায়।
পানিহাটির দম্পতি শাসন থানায় যান। গাড়ির খোঁজখবর নেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, আশিক বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি কৃষ্ণনগর আরটিওতে সেই গাড়ি তাঁর নিজের নামে করে নিয়েছে। তখন দম্পতি বুঝতে পারে তাঁরা গাড়ি পাচারচক্রের শিকার। আশিকের নামে শাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শাসন থানার পক্ষ থেকে সেই অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয় ঘোলা থানায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আশিক বিশ্বাস পলাতক। আন্তঃরাজ্য গাড়ি পাচারচক্রের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে শাসন ও ঘোলা থানার পুলিশ। আর এই ঘটনার সঙ্গে কৃষ্ণনগর আরটিও দপ্তরের বেশ কিছু আধিকারিক জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।