• তেরঙ্গা রঙে রাঙা, জগাছার সেই বাড়িতে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা, জানেন কেন?
    প্রতিদিন | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: জাতীয় পতাকার আদলে বাড়ির রং। বাড়ির ভিতরেও প্রবল ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে কাজ চলছে জাতীয় পতাকা তৈরির। হাওড়ার জগাছা এলাকার ওই বাড়ি এক ডাকে চেনে মানুষজন। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই ওই বাড়িতে বংশ পরম্পরায় তৈরি হচ্ছে জাতীয় পতাকা। এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, তৈরি হওয়া হাজার হাজার জাতীয় পতাকা ভিনরাজ্যেও যায়। ওই বাড়ি থেকে পতাকা যায় ত্রিপুরা, বিহার, অসম, ওড়িশা-সহ অন্যান্য রাজ্যে।

    বংশ পরম্পরায় ওই বাড়ির সদস্যরা জাতীয় পতাকা তৈরি করার কাজে যুক্ত বলে খবর। হালদার পরিবারের বংশধর রাজু হালদার বললেন, ‘‘প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও চাহিদা তুঙ্গে। ১৫ আগস্টের ঠিক আগে প্রত্যেক দিন ৩ থেকে ৪ হাজার পতাকা তৈরির পর সরবরাহ করতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও ত্রিপুরা, বিহার, অসম, ওড়িশায় ট্রেনে ও বাসে করে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে মোট ১৩ আকারের পতাকা তৈরি হয়। পতাকার নির্ধারিত দাম ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭০, ৮০, ১০০ ও ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

    গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল ব্যস্ততা ওই বাড়িতে। স্বাধীনতা দিবসের ২ মাস আগে থেকে দিনে কয়েক হাজার করে পতাকা তৈরি হয়। প্রায় ৩৫ জন কারিগর প্রত্যেক দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পতাকা তৈরির কাজ করেন। ১৫ আগস্ট পেরলে দিন কয়েক হাত কাজ থাকে না। মাস ঘুরতেই সেপ্টেম্বর থেকে ফের শুরু হয়ে যায় পতাকা তৈরির কাজ। ওই বাড়িতেই দীর্ঘদিনের কর্মী শেখ সরিফুল। তিনি বলেন, “জাতীয় পতাকা তৈরি করতে করতে অনেক সময় গভীর রাতও হয়ে যায়। বিশেষত স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকার চাহিদা এতটাই থাকে, যে প্রচুর পতাকা তৈরি করতে গভীর রাত পর্যন্ত কারিগরদের কাজ করতে হয়।” তাঁর কথায়, “২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের পর পতাকা তৈরির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।” এবারও চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)