• মেট্রো পথে জুড়ছে নোয়াপাড়া-মধ্যমগ্রাম মাইকেলনগর, কবে শুরু পরিষেবা?
    প্রতিদিন | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রোরেল তৈরির ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের মধ্যেই পাতালপথে চালু হয়ে যাবে এই ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া থেকে মধ্যমগ্রাম মাইকেলনগর পর্যন্ত মেট্রো। আশার খবর শোনা গেল বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে। এই কাজ শুরু করতে ইতিমধ্যেই মেট্রোর তরফে মধ্যমগ্রামের ৪টি ও বারাসত শহরের ৫টি এলাকায় সয়েল টেস্ট করতে দুই পুরসভার কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, বারাসত থেকে কলকাতা-এই পথে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা ভেবে উত্তর শহরতলির রেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ভিড় কমানো-সহ এয়ারপোর্ট থেকে ১২নম্বর জাতীয় সড়কের যানজটে রাশ টানতে ২০১০-২০১১ বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রোরেল তৈরির ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই রেল পথটি দু’টি ভাগে বিভক্ত। প্রথমটি নোয়াপড়া স্টেশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোররোড, বিরাটি ও মাইকেলনগর। তার মধ্যে নোয়াপড়া ও দমদম ক্যান্টনমেন্ট এই দু’টি স্টেশন উত্তোলিত পথে, যশোর রোড স্টেশন থেকে বাকিটা পাতালপথে। দ্বিতীয় অংশটি মাইকেল নগর থেকে বারাসত পর্যন্ত। জমিজটের কারণে এই অংশে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উত্তোলিত পথে রেলপথ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছিল। তাই বারাসত পর্যন্ত মেট্রোরেল পাতালপথে হবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়। এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ১১.৮৫ কিমি।

    মাইকেল নগর থেকে গঙ্গানগর কাটাখালের নিচ থেকে ভূগর্ভস্থ পথে মধ্যমগ্রাম স্কাউট গ্রাউন্ড হয়ে যশোর রোডের সমান্তরাল পথে বারাসতের পূর্বাচল হয়ে কেএনসি রোড ধরে কাছারি মাঠ হয়ে পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ণালী সংঘ হয়ে লোকশেড থেকে সুরিপুকুরে শেষ হবে। প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি হল বিধানপল্লি, চৌমাথা সংলগ্ন মধ্যমগ্রাম, হৃদয়পুর, বারাসত বিদ্যাসাগর স্টেডিয়াম, কাছারি ময়দান, বারাসত ইএমইউ কারশেড, যশোর রোডের কাছে জয়পুর ও ১২নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সুরিপুকুর। মেট্রো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জয়পুরে ভুপথে ডিপো তৈরিরও ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ সার্ভে করে ড্রয়িং তৈরির পর সয়েল টেস্টের অনুমতি চেয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে পরবর্তী কাজ শুরু করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বারাসতের সাংসদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে যতটুকু জেনেছি ২০৩০ সালকে টার্গেট করেই ওরা এগোচ্ছে। আমরা সয়েল টেস্টের জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছি।” মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, শহরবাসীর প্রভূত সুবিধা হবে। একদিকে ট্রেন ও আরেকদিকে মেট্রো, মাঝে জাতীয় সড়ক থাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। যানজট কমবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)