বিধান নস্কর, সল্টলেক: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে গাড়ির ধাক্কা। মাঝে পড়ে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু ডেলিভারি বয়ের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র সল্টলেক একে ব্লকের কাছে নতুন ব্রিজে তুমুল উত্তেজনা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ও দমকলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়ে উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।
বুধবার বিকেলে সল্টলেক একে ব্লকের কাছে নতুন ব্রিজের কাছে একটি চারচাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। বিস্ফোরণ ঘটে। রাস্তাতেই পুড়ে খাক হয়ে যায় গাড়িটি। এদিকে, ওই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ডেলিভারি বয়। তাঁর সঙ্গে ছিল বাইক। অসাবধানবশত রেলিংয়ে আটকে যান ডেলিভারি বয়। গাড়িতে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে ডেলিভারি বয়কে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই জ্বলন্ত পুড়ে যান তিনি।
উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার বেশ কিছুটা পর দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাই দমকল কর্মীদের লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ইটবৃষ্টিও করে। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকাপয়সা নিতে ব্যস্ত পুলিশ। অথচ পথ নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও গুরুত্ব নেই। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ডেলিভারি বয়কে উদ্ধার না করে পুলিশ ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিল বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়ে বলেই অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। কীভাবে ওই চারচাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গাড়িতে থাকা যাত্রী এবং বাইকে থাকা ডেলিভারি বয়ের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সল্টলেক পূর্ব থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।