‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা পারলে দিল্লি কেন নয়?’, পথকুকুরদের ‘ঘররক্ষা’য় সরব জুন মালিয়া
প্রতিদিন | ১৩ আগস্ট ২০২৫
জুন মালিয়া: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সব পথকুকুরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের সরিয়ে অন্যত্র রাখার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু হঠাৎ এই কাজ কেন করতে হচ্ছে? কেন তাদেরকে নিজেদের ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা পথ দেখিয়েছে কীভাবে তাদেরকে নিজেদের ঘর থেকে না সরিয়েও যত্ন নেওয়া যায়। তাহলে দিল্লি কেন পারবে না?
প্রশ্ন হচ্ছে কেন হঠাৎ এই কাজ করতে হচ্ছে? দিল্লির রাস্তাই তো তাদের ঘর। কেন তাদেরকে নিজের চেনা বাসস্থান থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? এই ব্যবস্থা তাদের প্রতি যত্ন নেওয়া নয়, আসলে নিষ্ঠুরতা।
দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর পথপ্রদর্শনে বাংলাতে কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি ধরা পড়ে। এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথকুকুরদের যত্নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। পথকুকুরদের স্টেরিলাইজেশন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যত্নের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পুরসভাগুলোকে তাদের খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও সরকারি স্কুলের শিশুদেরকে নিজেদের মিড ডে মিল থেকে পথকুকুরদের খাবার ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
এই কাজ যদি বাংলা করতে পারে তাহলে দিল্লি কেন পারবে না? প্রত্যেক ভ্যান, যেগুলি এই কুকুরদের নিজেদের ঘর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেগুলি আসলে একটি করে ঘর ভাঙছে। প্রতিটি কুকুরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া আসলে একটি জীবনকে তাঁর পরিচিত রাস্তার বাঁধন থেকে ছিঁড়ে ফেলা।
আমি এর আগেও সংসদে বন্যপ্রাণ রক্ষায় আওয়াজ তুলেছি। প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিম্যাল আইনে বদল আনার কথা বলেছি। ১৯৬০ সালের এই আইনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ইতিহাস সাক্ষী বাংলা সবসময় পথ দেখিয়েছে। এবারও বাংলাই পথ দেখাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই নিষ্ঠুর পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। এবার সময় এসেছে যত্নের। গোটা পৃথিবী তাকিয়ে আছে দিল্লির দিকে।