কড়ি ফেললেই মিলছে হিন্দু পরিচয়! শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ তৃণমূলের
প্রতিদিন | ১৩ আগস্ট ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: টাকার বিনিময়ে হিন্দু জাতির সংশাপত্র দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর! বনগাঁয় যে সিএএ শিবির চলছে, সেখান থেকেই সেই সংশাপত্র টাকার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে অভিযোগ পাঠালেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
বনগাঁ এলাকায় বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সিএএ ক্যাম্প চালাচ্ছেন বেশ কিছু দিন ধরেই। ওই ক্যাম্প থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে হিন্দু জাতির সংশাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলে এবার অভিযোগ উঠল। বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দিতেই এই সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এজন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার সেই বিষয়েই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা স্থানীয় পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
তিনি বলেন, “এই সিএএ শিবির করে আসলে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নেওয়ার ফাঁদ পাতা হয়েছে।” গোপাল শেঠের বক্তব্য, “রাজ্য কিংবা কেন্দ্র, কোনও সরকারই তো বলেনি এভাবে সিএএ শিবির করার কথা। ওনাকে কে দায়িত্ব দিল এই শিবির করার?” পুরপ্রধানের আরও অভিযোগ, “কিছু আইনজীবী মারফত নোটারি করে বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা বানানো হচ্ছে। তারপর তাঁকে হিন্দু সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।” এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীরা এদেশের নাগরিক হয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “গোপালবাবু বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন বেরান। কিন্তু সেই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। অভিযোগ আদতে কোথায় করেন, কেউ জানে না। কোনও রিপোর্ট আসে না।” তিনি পাল্টা বলেন, “আসলে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং নাগরিকত্বের জন্য মানুষেরই আবেদন দেখে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।” শান্তনু ঠাকুরের মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।