কলকাতা বন্দরের ১৭০ একরের বেশি জমি জবরদখল! মন্ত্রীর জবাব পেয়েই তোপ শমীকের
আনন্দবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৫
কলকাতা বন্দরের ১৭০.৪ একর জমি জবরদখলকারীদের কব্জায়। রাজ্যসভায় মঙ্গলবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রক। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের জবাবে জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন। জবরদখলের জেরে কলকাতা বন্দরকে কতটা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তার আভাসও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফ থেকে। রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণেই এই জবরদখল হটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শমীক।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক জানতে চেয়েছিলেন, কলকাতা বন্দরের মালিকানাধীন কয়েক হাজার একর জমি কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, কতটা জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে, জবরদখলকারীর সংখ্যা কত, বন্দরের বার্ষিক আয় কী রকম? জবাবে জাহাজ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘শুল্ক আবদ্ধ এলাকা’য় ৪২১ একর জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। তার বাইরের এলাকায় রয়েছে ৪,১২২ একর জমি। আর ১৭০.৪ একর জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলে শমীকের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে। জবরদখলকারীদের সংখ্যা ৭০৬।
জাহাজমন্ত্রী রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, গত পাঁচ বছরে ২,৯৯৪ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা আয় করেছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গুদাম ব্যবস্থার উন্নতি, জাহাজ মেরামতি পরিষেবা এবং নদীর তীর সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।
জাহাজমন্ত্রীর কাছ থেকে এই উত্তর পেয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শমীক। তাঁর অভিযোগ, বন্দরের ১৭০ একরের বেশি জবরদখল হয়ে রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের ‘অসহযোগিতায়’। শমীকের কথায়, ‘‘বাম জমানা থেকেই কলকাতা বন্দরের বিপুল পরিমাণ জমি জবরদখলকারীদের কব্জায়। সে সরকারও জবরদখল হটাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তৃণমূলের সরকারও কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’ উল্টে বর্তমানে জবরদখলকারীরা ‘তৃণমূলের তথা প্রশাসনের আশীর্বাদ’ পাচ্ছে বলেও শমীক মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বন্দরের জমি থেকে জবরদখল হটাতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের প্রশাসন কোনও রকম সাহায্য করছে না।’’ কলকাতা বন্দরের জমি থেকে যদি জবরদখল হটানো সম্ভব হয়, তা হলে জমি তথা সম্পত্তিকে (এস্টেট) কাজে লাগিয়ে বন্দর বছরে এক হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে বলে বিজেপির দাবি।