• নবান্ন অভিযানে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারের অভিযোগ, জগদ্দলের যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ
    আনন্দবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • নবান্ন অভিযানে পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ওই যুবককে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মামলার সঙ্গে ধৃতের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম চন্দন গুপ্ত। ৪০ বছর বয়সি ওই যুবক জগদ্দলের বাসিন্দা। ঘটনার দিনের বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখে চন্দনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৯ অগস্ট এক কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় ওই যুবক সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ (১), ১২১ (২) এবং ৩ (৫) ধারায়।

    আরজি কর-কাণ্ডের এক বছর পূর্তির দিন, গত শনিবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ডাকে নবান্ন অভিযানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু বিজেপি কর্মীও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধর্মতলা থেকে মিছিল পার্ক স্ট্রিট হয়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পার্ক স্ট্রিট মোড়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক কনস্টেবলকে রাস্তায় ফেলে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। মারধর করা হয় নির্যাতিতার মাকেও। যদিও মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার জয়েন্ট সিপি (সদর) মীরাজ খালিদ জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মাকে পুলিশি মারধরের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বরং জমায়েত থেকে পুলিশকে খারাপ কথা বলা হয়। এমনকি, পুলিশকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ মীরাজের। পুলিশকে মারধর করার সেই ছবি মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখানোও হয়েছে। এর পরেই ওই ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    অন্য দিকে, নবান্ন অভিযানের দিন অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে এখনও পর্যন্ত কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ছ’টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় ছ’জনকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার অভিযোগের ভিত্তিতে সজল ঘোষ, তমোঘ্ন ঘোষ, অশোক দিন্দা এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলা সরকার, কুশল পান্ডে, কমলজিৎ সিংহকে নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)