পিছিয়ে গেল বাংলার ডিএ মামলার শুনানি! মঙ্গলে অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যের আইনজীবী
আনন্দবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৫
পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠার কথা ছিল। আশা করা হচ্ছিল, এই দিনই শুনানি শেষ হবে। কিন্তু গত সপ্তাহে টানা তিন দিন শুনানি হলেও মঙ্গলবার পিছিয়ে গেল শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ অগস্ট। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল এই মামলায় সওয়াল করতেন। কিন্তু তিনি এসআরআই বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলায় ব্যস্ত ছিলেন মঙ্গলবার।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার— পর পর তিন দিন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে, এই দাবিকে সামনে রেখে শুরু হয় মামলা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি), কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। উচ্চ আদালত বলে, ডিএ রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকার। কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে, আরও সময় প্রয়োজন। আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত কোনও বরাদ্দ ছিল না। তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।
পাশাপাশি রাজ্যের যুক্তি ছিল, মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। অন্য দিকে, মামলাকারী পক্ষের যুক্তি, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। তাদের দাবি, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া হোক। সেই মামলারই শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেল।