নিরুফা খাতুন: পিছু ছাড়ছে না দুর্যোগ! ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে ধস নামার আশঙ্কার কথা জানালো হাওয়া অফিস। আদ্রর্তাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকলেও বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তাল হবে সমুদ্র। তাই শনিবার পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভাবনা। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হবে। বঙ্গোপসাগরের এই নিম্নচাপ থেকে কর্ণাটকের ঘূর্ণাবর্ত পর্যন্ত একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিস্তৃত। মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা অমৃতসর, মাণ্ডি, বাল্মিকীনগর, মোজাফফরপুর এবং জলপাইগুড়ির উপর দিয়ে হাফলং থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং অসমে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত রয়েছে অক্ষরেখা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা জম্মু ও কাশ্মীর সংলগ্ন উত্তর পাকিস্তান এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। কার্যত ভাসবে উপকূল ও পশ্চিমের দিকের জেলাগুলো। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকাঝোড়ো বাতাসও বইবে। সোমবার থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ।
আজ, বুধবার অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। বাকি তিন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। টানা বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। সিকিমেও ধসের আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা। বিভিন্ন রোডে আন্ডারপাস এবং নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকায় জলস্তর বাড়বে। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমবে।