• ছাব্বিশের আগেই বড় ভাঙন, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে বিজেপির ৩০০ সমর্থক
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • প্রদ্যুত্ দাস: বিধানসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন প্রায় ৩০০ বিজেপি সমর্থক। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ঘটনা। তাঁদের বক্তব্য, উন্নয়ণে একমাত্র ভরসা তৃণমূল কংগ্রসেই।

    ওই বিপুল সংখ্যক বিজেপি সমর্থক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোরুয়া শিবিরে। তবে তারা তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। দলত্যাগী বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য়, তাদের এলাকায় রাস্তা নেই। সেই রাস্তার জন্য একমাত্র ভরসা তৃণমূল কংগ্রেসেই। সেই জন্যই শাসকদলে যোগদান। তবে রাস্তা না হয়ে ফের চিন্তাভাবনা করা হবে।

    রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর অঞ্চলের ভাণ্ডাপুর চা বাগানে মনোজ ভুজেলের নেতৃত্বে এবং রোহন মেনন সমেত বুথ ও অঞ্চল নেতৃত্বের উদ্যোগে যোগদান সভায় প্রায় ৩০০ জন ভোটার বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বলে তৃণমূলের দাবি। আর এতেই রাজগঞ্জে তৃণমূল অনেক শক্তিশালী হল বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমান জেলা বিজেপিতেও একট ভাঙন আন্দাজ করা যাচ্ছে। জেলা বিজেপিতেশুরু হল পোস্টার যুদ্ধ। গেরুয়া শিবিরে প্রকাশ্যে চলে এল আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি অভিজিৎ তা-এর ছবি দিয়ে পোস্টার পড়ল কার্জনগেট ও কোর্ট কম্পাউন্ড চত্বরে। আদি বিজেপি কার্যকর্তাবৃন্দর নামে দেওয়া এই পোস্টারে জেলা সভাপতির ছবি দিয়ে তাঁকে 'বামপন্থী হার্মাদ' বলে দাবি করে সাংগঠনিক জেলা বাঁচাও-এর আহ্বান করা হয়েছে। একইসঙ্গে গত ৫ বছরে বিভিন্ন নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা ও অসফলতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

    এই পোস্টার সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই পোস্টার আসলে বিজেপির ভিতরের অন্তর্কলহকে তুলে ধরেছে বলে কটাক্ষ করেছে শাসক শিবির। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে পালটা তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সৌম্যরূপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পালটা তৃণমূলের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলাম কটাক্ষ করেন, এটা বিজেপির ভাগবাটোয়ার লড়াই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)