• সিপিআইএম এর প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পালের মূর্তি উদ্বোধন করলেন তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার...
    আজকাল | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  •  

    মিল্টন সেন, হুগলি: সিপিআইএম এর প্রাক্তন সাংসদ সম্প্রতি রূপচাঁদ পালের মূর্তি উদ্বোধন করলেন তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি বলেছেন, 'ওনার তৈরী প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হবে,এখানে কোনও রাজনীতি নেই।'

    সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ায় হুগলি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। উদ্দেশ্য ছিল মফস্বলের ছেলেমেয়েদের বাড়ির কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া। এর জেরে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া সেই কলেজে বর্তমানে প্রায় দের হাজারেরও বেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করছেন। অনেকে আবার এর মধ্যে পাশ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। জানা গিয়েছদ 'মেটা' বা 'গুগলের' মত সংস্থাতেও চাকরি পাচ্ছেন অনেকে।

    এমন এক উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ২১ বছর পূর্তি হল আজ।সেই উপলক্ষে প্রাক্তন সাংসদের আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়। সেই মূর্তির উদ্বোধন করলেন চুঁচুড়ারই তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সিপিআইএম এর প্রাক্তন সাংসদের মূর্তি উদ্বোধন করছেন তৃনমূলের বিধায়ক, সাম্প্রতিক সময়ে এমনটা সচরাচর দেখা যায়নি।

    মূর্তি উদ্বোধনের পর বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'এই কলেজ চুঁচুড়ার গর্ব। বহু পড়ুয়া এখান থেকে পাস করে গিয়ে ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এই কলেজ সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল তৈরি করেছিলেন। কলেজটা বাঁচলে রূপচাঁদ পালের স্মৃতি বাঁচবে। কলেজের ক্ষতি হলে ক্ষতি হবে চুঁচুড়ার। রূপচাঁদ পালের অবর্তমানে যাতে কলেজের কোন অসুবিধা না হয় তাই আমি আজ এখানে এসেছি। রূপচাঁদ পাল শুধুই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন তা নয়। তিনি একজন সাংসদ ছিলেন, কেবল তাও নয়। তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাঁর হাতে তৈরি হয়েছে। এমন একজন শিক্ষককে সম্মান জানানো এবং এই শিক্ষা কেন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।  সেটা আজকে এই সমারোহে উন্মোচন করলাম।'

    'এইসব কাজের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় হবে। রাজনীতি যখন হবে তখন রূপচাঁদ পাল ভালো মন্দ কি ছিল সেটা বলবো। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে দাঁড়িয়ে যেটা ওনার স্বপ্ন ছিল সেটাকে বাঁচিয়ে রাখা তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনওরকম কোনও সম্পর্ক নেই। উনি এর প্রতিষ্ঠাতা সেই সম্মানটা ওনাকে জানালাম।' আরও যোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। 

    রূপচাঁদ পালের ভাইপো দেবাশীষ পাল বলেছেন, এই কলেজে সর্বমোট ১৩০ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের ভবিষ্যৎ কলেজের সঙ্গে যুক্ত। একটা সময় কলেজের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠেছি। এই কলেজ যাতে ধ্বংসের পথে চলে না যায় তার জন্যই বিধায়কের সাহায্য চেয়েছি। যেহেতু উনি শাসকদলের একজন বিধায়ক তাই সরকারি কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে যাতে পাই সেটাও দেখছি। এই কলেজের শ্রী বৃদ্ধির জন্য আমরা সকলেই চেষ্টা করছি। নতুন কিছু কোর্স যাতে চালু করা যায়।
  • Link to this news (আজকাল)