• চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়নি, রাজ্যের মুখ্য সচিবকে দিল্লিতে তলব কমিশনের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • চার আধিকারিককে সাসপেন্ড নিয়ে আরও কঠোর মনোভাব দেখাল নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে কার্যত নবান্ন বনাম জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশনের নির্দেশ পেয়েও এই চার আধিকারিককে সাসপেন্ডে করেনি রাজ্য। এই নিয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে তলব করা হয়েছে। বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    প্রসঙ্গত, প্রথমে নির্বাচন কমিশনের এই আদেশ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ওই আধিকারিকদের উপর পদক্ষেপ করতে হলে তাঁর দেহের উপর দিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশের পর রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থও সোমবার কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড ও এফআইআর করা হবে না। তাঁদের মধ্যে দু’জন যথাক্রমে বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার ও ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাসকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, মনোবল ভেঙে যাবে।

    যদিও বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য। তবে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপকে প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের ব্যাখ্যা হল, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তার পাশাপাশি থাকে ইলেক্টোরাল রোল সংক্রান্ত কাজ। এত কাজ করার পরেও কোনও তদন্ত ছাড়া আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যদের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে।

    জানা গিয়েছে, ওই চার আধিকারিকের বিরুব্ধে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তিকরণে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছিল। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, ওই চারআধিকারিককে সাসপেন্ড করে কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরেরও নির্দেশ দিয়েছিল। কমিশনের নিশানায় থাকা ওই চার আধিকারিকের মধ্যে দুইজন ইআরও এবং বাকি দুইজন সহকারী ইআরও। এছাড়া একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরও এই তালিকায় রয়েছেন। তাঁরা হলেন, বারুইপুর পূর্ব (১৩৭) বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, এইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার।

    কিন্তু, মুখ্যসচিব কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে পাল্টা চিঠি দিয়ে ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড ও এফআইআর করা হবে না বলায় ক্ষুব্ধ হন কমিশনের সদর দপ্তরের কর্তারা। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের পরেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)