• জমা জল সরানো নিয়ে অশোকনগর আর হাবড়ার বাসিন্দাদের হাতাহাতি
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: জল নিকাশি নিয়ে দুই পুরসভার নাগরিকদের মধ্যে হাতাহাতি। তাতে জখম হলেন উভয়পক্ষের একাধিক ব্যক্তি। শেষে দুই পুরসভার জনপ্রতিনিধি ও পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সোমবার রাতের এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে হাবড়া ও অশোকনগর পুরসভার সীমান্ত এলাকায়।

    তুমুল বৃষ্টি থেকে জমা জলে দুর্ভোগে হাবড়া ও লাগোয়া অশোকনগর পুরসভার বাসিন্দারা। অশোকনগরের ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিই জলমগ্ন। ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে জমা জলের পরিমাণ বেশি। দুটি ওয়ার্ডের পাশেই রয়েছে হাবড়া পুরসভার ৮ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেও জল জমে আছে। সাধারণত এই দুই পুরসভার জমা জল হাবড়া হয়ে নাংলার বিলে গিয়ে পড়ে। কিন্তু নাংলার বিলে জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে।

    এই আবহে সোমবার রাতে অশোকনগরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে জমা জল বের করতে পাম্প চালু করা হয়। সেই জল গিয়ে হাবড়া পুরসভার ৮ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল আরও বাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পরই হাবড়া পুরসভার ওই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সামনে ছিল প্রমীলা বাহিনী। এনিয়ে দুই পুরসভার বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি থেকে হাতাহাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দুই পুরসভার কাউন্সিলার সহ দুই থানার পুলিস। বন্ধ করে দেওয়া হয় পাম্প।

    হাবড়ার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ টুম্পা দে ও মৌমিতা বসু বলেন, আমরা জলবন্দি। তারমধ্যেই অশোকনগরের জমা জল পাম্প করে আমাদের ওয়ার্ডে ফেলা হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খেয়েছি। হাবড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুজিত বিশ্বাস বলেন, হাবড়ার ৮, ১৫ ওয়ার্ডের জল কিছুটা কমার পর অশোকনগরের দুই ওয়ার্ডের জল ধীরে ধীরে সরানো হবে। এদিন কাজ বন্ধ রাখা হল। 

    এ প্রসঙ্গে অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার বলেন, ১২টি ওয়ার্ডে কম-বেশি জল আছে। তা সরানো যাচ্ছে না। এদিন জমা জল সরানো নিয়ে একটা গণ্ডগোলও হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)