• বিধাননগর পরিচ্ছন্ন রাখতে ১২ রিফিউজ কমপ্যাক্টর সহ ১৯টি গাড়ি কিনল পুরসভা
    বর্তমান | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বর্জ্য অপসারণে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করল বিধাননগর পুরসভা। ১২টি রিফিউজ কমপ্যাক্টর, চারটি সেসপুল সহ ১৯টি নয়া বাহনের সূচনা হল। মঙ্গলবার পুরভবনে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে  ছিলেন বিধাননগরের বিধায়ক ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ পুরসভার জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। পুরসভার দাবি, এই ১৯টি গাড়ি আসায় জঞ্জাল সাফাইয়ে কোনও সমস্যা থাকবে না।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে বিধাননগর পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হতো সেক্টর ফাইভ সংলগ্ন মোল্লার ভেড়ি এলাকায়। কিন্তু পরিবেশরক্ষার কারণে বর্তমানে কলকাতার ধাপায় জঞ্জাল ফেলা হয়। কিন্তু সল্টলেক থেকে ধাপা পর্যন্ত বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়ি ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ছিল। সে কারণে যানগুলি কেনা হয়েছে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে মোট ১৯টি গাড়ি কেনা হয়েছে। সবগুলিরই উদ্বোধন হল। এর মধ্যে ১২টি রিফিউজ কমপ্যাক্টর, চারটি সেসপুল, দু’টি হাইড্রলিক হুক লোডার এবং একটি হাইড্রলিক লেডার স্কাই লিফ্ট রয়েছে। মোট খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ২০০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘১২টি রিফিউজ কমপ্যাক্টরের মধ্যে আটটি গাড়ি গারবেজ তোলার জন্য ব্যবহৃত হবে। চারটি গাড়ি বিন তোলার জন্য ব্যবহার করা হবে।’

    মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। তবে আর থাকবে না। শহর পরিচ্ছন্ন থাকবে।’ বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ১২টি রিফিউজ কমপ্যাক্টর দিয়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে। পরে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য এই ব্যবস্থা তৈরি হবে। এতে জিপিএস নেভিগেশন থাকবে। সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার এবং তা পরিবহণের জন্য ব্যবহার হবে চারটি সেসপুল গাড়ি। কারণ রাজারহাট এলাকায় প্রচুর সেপটিক ট্যাঙ্ক রয়েছে।’

    উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে সল্টলেক শহরকে অবহেলা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর সল্টলেক, রাজারহাটকে নিয়ে কর্পোরেশন করেছেন। পরিষেবা উন্নত করেছেন। উনি ভ্যাট ফ্রি সিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই দিকে এগচ্ছি। উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন করতে হবে। যাতে কেউ রাস্তায় আবর্জনা ছুড়ে না ফেলেন।’ সল্টলেকের রাস্তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘মাঝে মাঝে সল্টলেকের রাস্তা খারাপ আছে দেখা যায়। আবার সংস্কারও হয়। রাজারহাটের পাথরঘাটায় যে বর্জ্য অপসারণ ইউনিট তৈরি হবে, সেখানে সিএনজি তৈরি হবে। ফলে বর্জ্য অপসারণের গাড়ির জ্বালানিও লাগবে না।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)