ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যেই ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার হলদিয়ায় এলেন আমেরিকান কনসাল জেনারেল ক্যাথরিন গিলস দিয়াজ। ঘুরে দেখলেন হলদিয়া বন্দর।
এ দিন প্রথমে হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্যাথরিন। বন্দর থেকে দিনে কত পণ্য পরিবহণ করা হয়, কোন কোন দেশে পণ্য যায়, পরিকাঠামোগত কী কী সুবিধা রয়েছে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন তিনি। ঘুরে দেখেন বন্দর চত্বর। তার পরে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক্যাথরিনের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, সিইও কোন্থাম সুধীর, পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) বৈভব চৌধুরী-সহ একাধিক আধিকারিক। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় তাঁদের। পরে ক্যাথরিন বলেন, ‘বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হলদিয়া বন্দরের পরিকাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যের প্রসারই আমাদের লক্ষ্য।’
বাণিজ্যিক দিক থেকে হলদিয়া বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর থেকে জলপথে তো বটেই, সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগের ভালো পরিকাঠামো রয়েছে। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে রয়েছে পর্যাপ্ত জমিও। বিদ্যুৎ, জলের সঙ্গে দক্ষ শ্রমিক পেতেও কোনও অসুবিধা নেই। ক্যাথরিনের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়গুলির উপরেই জোর দিয়েছেন হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘হলদিয়ায় কী কী বাণিজ্যিক সুবিধা মিলতে পারে, সেই বিষয়ে আমেরিকান কনসাল জেনারেলকে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি। পেট্রোকেমিক্যাল কারখানা, গ্রিন এনার্জির পাশাপাশি ফুড প্রসেসিং, সেমি কন্ডাক্টর, শহরের পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এই বৈঠক থেকে অদূর ভবিষ্যতে হলদিয়ায় আমেরিকার বিনিয়োগের দরজা খুলে যেতে পারে বলে আশা করছেন শিল্পমহলের একাংশ। বুধবার আমেরিকান কনসাল জেনারেল হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস এবং মিৎসুবিশি কারখানা ঘুরে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।