মনোজ মণ্ডল: অশোক কীর্তনীয়ার পর এবার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় স্বপন মজুমদার ও তার বাবা-মায়ের নাম নেই। এমনই অভিযোগ তোলেন বনগাঁর সংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সব্যসাচী ভট্ট। বিহার হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR। ভোটার ঝাড়াইবাছাইয়ের কাজ করছেন
বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়ে তিনি স্বপন মজুমদারের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি মহকুমা শাসক ও সংবাদমাধ্যমের সামনে বাংলাদেশের দুটি নথি জমা দিয়েছেন। যেখানে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ১৪ নম্বর নিজামুদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল শেখ দাবি করছেন স্বপন মজুমদার ও তার পরিবার বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তারা ভারতে আছেন।
পাশাপাশি সব্যসাচীবাবু ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশের একটি দলিল সামনে আনছেন। যেখানে বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বাবা সন্তোষ কুমার মজুমদার দলিলের দাতা হিসেবে উল্লেখ করা আছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বাংলাদেশের নাগরিক এবং তিনি ২০০২ সালের পরে এদেশে এসে অবৈধভাবে ভারতীয় ভোটার তালিকার গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
গুরুতর এই অভিযাগ নিয়ে বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, যারা এইসব অভিযোগ করছে তাদের সম্পর্কে যদি খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে তাদের আদি বাড়িও বাংলাদেশে। দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। কেউ পঞ্চাশ সালে এসেছে, কেউ ষাট সালে এসেছে। কেউ একাত্তরে। কেউ বা তারও পরে। আমার মা-বাবা শরনার্থী হয়ে একাত্তর সালে এখানে এসেছিলেন। তখন মানুষ নিরুপায় ছিল। আমাদের সকলের জন্ম এখানে। সব কাগজপত্র আছে। যারা বলছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম নেই তাদের বলি ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম না থাকতেই পারে। তার মানে সে বাংলাদেশি? ১৯৯৯ সালে আমার ১৮ বছর পূর্ণ হয়। সেইসময় ভোটার লিস্টে একবার দুবার, তিনবার নামে দিলেও অনেক সময় নাম উঠত না। অনেক আগে বাবা মারা য়ায়। কাজের জন্য আমাকে মুম্বই যেতে হয়। বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। তা নিয়েও এই চোরেরা প্রশ্ন তোলে। কোর্টে তা ধোপে টেকেনি। এরা ভুলে যাচ্ছে, অনুপ্রবেশকারী, শরনার্থী ও উদ্বাস্তু সম্পূর্ণ পৃথক জিনিস। বাংলাদেশ থেকে অত্য়াচারিত হয়ে যেসব হিন্দু এখানে এসেছে তাদের জন্যই তো অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী সিএএ লাগু করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তাতে বাধা দিচ্ছে এরা। এদের কথায় কান দেবেন না।