• ক্রমশ বাড়ছে নদীর জল! ৩৫০ পরিবারই কি বিপন্ন? ত্রাণশিবিরে ভিড়...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ আগস্ট ২০২৫
  • রণজয় সিংহ: গঙ্গা (Ganga), ফুলাহার (Fulahar), নদীর জলস্তর বাড়ার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর (Mahananda River) জলস্তরও বেড়েছে। মহানন্দা নদী-সংলগ্ন এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি মহানন্দার নদীর জলে প্লাবিত (Flood) হয়েছে। জলমগ্ন গোটা এলাকা। ঘরবাড়ি জলের তলায়। ইংরেজবাজার পুরসভার ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলির একাংশ মহানন্দার জলে প্লাবিত হয়েছে। 

    ৩৫০ পরিবার

    মহানন্দা নদীর পাড়ে প্রায় ৩৫০ পরিবার বসবাস করে। ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার পুরসভা থেকে বিবেকানন্দ স্কুল-সংলগ্ন বাঁধ রোড এলাকায় বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য বাসস্থান করা হয়েছে। সেখানেই অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে বসবাস করছেন। বর্তমানে সেখানে ৬০টি পরিবার রয়েছেন। তবে মহানন্দা নদীর জল ক্রমশ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পর্যাপ্ত থাকার ব্যবস্থা না থাকার ফলে অনেকে ত্রিপল টাঙিয়ে থাকছেন। 

    নদীর জল বাড়লেই

    মহানন্দা তীরবর্তী বসবাসকারী বাসিন্দারা জানান, ইংরেজ বাজার পুরসভার পক্ষ থেকে আপাতত তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রতিবারই বর্ষার সময় মহানন্দা নদীর জল বাড়লেই তাদের নদীর পাড় থেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় চলে আসতে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। জল এভাবে কয়েকমাস থাকে, আবার নেমে গেলে তারা পুনরায় নতুন করে মহানন্দার পাড়ে বসবাস শুরু করেন। তবে মানুষের দাবি, তাদের সরকার জায়গা দিক, যাতে স্থায়ীভাবে তারা নদীর পাড় থেকে উঠে শুকনো জায়গায় বসবাস করতে পারে। 

    নদীরপাড়ে বাস 

    তবে আপাতত বাসস্থান দেওয়া হয়েছে। সরকারি সাহায্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি জানান, প্রতি বছরই মহানন্দা নদীর জল বাড়ে, তখন নদীর পাড়ে যারা বাস করে, তারা ডুবে যায়। সে ক্ষেত্রে ইংরেজবাজার পুরসভার যে ভূমিকা, সেটা ঠিকভাবে আমরা দেখতে পাই না। না ত্রিপল না রিলিফ-- কিছু ব্যবস্থা হয় না। বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য বাসস্থান খোলা হয়েছে, সেখানে অনেকে থাকে। তবে ফ্লাড সেন্টার খুললে হবে না, সেটাকে বাড়াতে হবে।

    পুরসভার পক্ষে 

    ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, মহানন্দা নদীর জল বাড়লে নদীর পাড়ে যারা বসবাস করে প্রতি বছরই তাদের বাড়িঘর ডুবে যায়। গত কয়েক বছর আগে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকায় আমরা ফ্লাড সেন্টার তৈরি করেছি। সেখানেই অনেকে থাকছে। পরবর্তীকালে তাদের আমরা ড্রাই ফুড-সহ আরো অন্যান্য সরকারি পরিষেবা দিয়ে থাকব।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)